॥স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাত করছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত কেরু এন্ড কোম্পানী(বাংলাদেশ) লিমিটেড।
গতকাল ২২শে মার্চ শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেরু এন্ড কোম্পানী ইতোমধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করেছে। ‘কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ নামে এই জীবাণুনাশক আজ ২৩শে মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাজারজাত করা হবে।
তাদের উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি শিগগিরই পুরোদমে বাজারে পাওয়া যাবে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, কেরু উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি বিপণন কেন্দ্র, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সামনে এ স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে। এছাড়া চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এটি সরবরাহ করা হবে। প্রতি ১০০ মিলিলিটার বোতলের স্যানিটাইজারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ৬০ টাকা।
এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে কর্মক্ষেত্রের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, আইইডিসিআর কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় হাঁচি-কাশি দেয়া, করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা এবং জনসমাগম পরিহার করতে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা, মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক অফিস, জেলা অফিস, শিল্পনগরী কার্যালয়, শিল্প-কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনার প্রার্দুভাবে উদ্ভুত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যে কোনো জরুরী প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের কন্ট্রোল রুমের হট লাইন নম্বর +৮৮০২৯৫৫৮৪১৩, মোবাইল নম্বর ০১৭২০-০৯৮৩৬১, ই-মেইল: pratul.saha1@gmail.com-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস (COVID–১৯) সংক্রমণরোধে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট(আইইডিসিআর) এর নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক অফিস, জেলা অফিস, শিল্পনগরী কার্যালয়, শিল্প-কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব জায়গায় কর্মরত সকল কর্মীকে দেহের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক অফিস, জেলা অফিস, শিল্পনগরি কার্যালয়, শিল্প-কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত কারো দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি হলে এবং সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা থাকলে অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বাধ্যতামূলক সংগনিরোধ ছুটি প্রদান করে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে দাপ্তরিক সভা সীমিত করার নির্দেশনা জারি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরকেও কোনো প্রয়োজনে অফিস কক্ষে না ডেকে যথাসম্ভব ইন্টারকম, টেলিফোন, ই-মেইল ও ই-নথির মাধ্যমে যোগাযোগ করে কার্যসম্পাদনের অনুরোধ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও নির্দেশনা দ্রুত বিনিময় এবং যোগাযোগ সহজ করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় COVID-১৯ নামে যিধঃংঅঢ়ঢ় গ্রুপ গঠন করেছে।