॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে ৩দিনব্যাপী একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে।
গতকাল ১৯শে ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে বইমেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার কর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোঃ বাকাহীদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইদুজ্জামান খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল কবির, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) শামসুন্নাহার চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণসহ দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফিতা কেটে, বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করা হলো। যা আজ ১৯শে ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে। অমর একুশে বইমেলা প্রতিটি বাঙালীর কাছেই প্রাণের মেলা হিসেবে অনেক আগে থেকেই সকলের মনে স্থান করে নিয়েছে। আজকে রাজবাড়ীতে যে বইমেলার উদ্বোধন করা হলো সেটিও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। বইমেলার মাধ্যমে লেখক ও পাঠকদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরী হওয়াসহ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলা ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলা ভাষা চর্চার প্রতি আরো আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। রাজবাড়ী জেলাবাসীকে তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে মেলায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, এবারের তিনদিন ব্যাপী একুশে বইমেলায় জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, লেখক ও পাঠক ফোরাম, এনজিও এবং পুস্তক প্রকাশক ও ব্যবসায়ীদের স্টলসহ মোট ৪৬টি স্টল রয়েছে। স্টলগুলো থেকে পাঠকদের বই ক্রয়সহ পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও বইমেলার পাশাপাশি শহীদ মিনারের পাশে অমর একুশের মঞ্চ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।