বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সঙ্কটের ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

॥নিউইয়র্ক প্রতিনিধি॥ “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্ব-প্রণোদিত প্রত্যাবাসন এবং কাঙ্খিত সামাজিক পুনর্মিলনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা” গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে “শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তিঃ সংঘাত ও সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতির ন্যায় বিচার” শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় প্রদত্ত বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসা দেশগুলোর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিচার ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংস অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের(আইসিসি) যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। ২০২০ সালের ২৩শে জানুয়ারী ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজ এর নির্দেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে অভিহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
নিরাপত্তা পরিষদের ‘নারী শান্তি ও নিরাপত্তা’ এবং ‘যুব শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডাসমূহের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “সশস্ত্র সংঘাতকালে শিশু ও নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং এর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বহু-পাক্ষিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে সমর্থনদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম প্রধান সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত-প্রবণ এলাকায় বাংলাদেশ যে অবদান রেখে চলেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
‘সংঘাত পরবর্তী পরিস্থিতি’ বিষয়টির উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “যাতে কেউ অপরাধের দায়মুক্তি না পায় তা নিশ্চিত করা, অপরাধের দায়বদ্ধতা নিরূপণ করা এবং অতীত সংঘাত ও সহিংসতার দুষ্টু চক্র ভেঙ্গে ফেলা অত্যন্ত জরুরী”। এক্ষেত্রে অসমতা, বৈষম্য, বর্জনসহ সমাজে সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে এমন মূল কারণগুলি চিহ্নিত করা এবং তা প্রতিরোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
নিরাপত্তা পরিষদের চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের সভাপতি বেলজিয়াম এই উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!