॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ইউনিসেফ চলতি বছরে কন্যা শিশুর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও প্রাক শৈশব উন্নয়নের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের ২০২০ সালের প্রথম নিয়মিত সেশনে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ড হচ্ছে এর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী প্লাটফর্ম। চলতি বছরের এই প্রথম সেশন ১৩ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শিশুদের সকল অধিকার সুরক্ষিত করার পাশাপাশি তারা যাতে শান্তির সংস্কৃতি, অহিংসা ও অন্যের প্রতি সহমর্মিতার মত মানবীয় গুণাবলী ধারণ করে উন্নত মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে- সেভাবে তাদের প্রস্তুত করার দায়িত্বও ইউনিসেফের নেয়া প্রয়োজন।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী এবং নারী ও কন্যাশিশুর সমতা সৃষ্টির প্লাটফর্ম-বেইজিং ঘোষণার ২৫তম বার্ষিকী -এ’দুটি বহুপাক্ষিক মাইল ফলকের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আমরা এখনও আমাদের মেয়েদের বৈষম্য ও পশ্চাৎপদতা থেকে মুক্ত করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বে ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫বছর বয়সের নীচের শিশুদের মৃত্যুহার ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ হ্রাস, ৮২ শতাংশ গর্ভবতী নারীর এইডস থেকে সুরক্ষার ঔষধ প্রাপ্তি ও গত দুই দশকে খর্বাকৃতির শিশুর সংখ্যা ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এখনও বিশ্বের ৬৬০ মিলিয়ন শিশুকে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত এবং ৬০ মিলিয়ন শিশুকে স্কুলে নেয়া যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
সাইবার অপরাধ, সুদীর্ঘ সময় ধরে চলমান মানবাধিকার সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের মতো নতুন ও উদীয়মান কিছু বৈশ্বিক সমস্যা যা শিশুদেরকে অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিশু বান্ধব নীতি প্রণয়ন ও দেশের যুব জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণসহ রোহিঙ্গা শিশুদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক মিজ্ হেনরিয়েটা ফোর বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।