॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন পরিবারটি।
ধর্ষিতা ওই গৃহবধু জানান, চাঁদপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে বাদশা আলম(৩৪) তাকে দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইলে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে মোবাইলে জানান। এরপর তার স্বামী সৌদি আরব থেকেই বাদশাকে ধমক শাসন করে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বাদশা। গত ১০ই মে রাত পৌনে ১২টার দিকে বাড়ীর মধ্যে মানুষের আনাগোনার শব্দে তিনি ঘরের দরজা খুলে বাইরে আসে। এ সময় একই গ্রামের চাঁদাই ওরফে চাঁদ আলী, বাদশা ও শরীফুল তাকে ঘরের অপর একটি রুমের মধ্যে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার করলে বাদশা তাকে থাপ্পর মারে। এতে তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপর ওই অবস্থাতেই বাদশা ও চাঁদাই তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় শরীফুল তাদের পাহাড়া দেয়। তার চিৎকারের শব্দে অপর রুম থেকে তার মেয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আশেপাশের লোকজনও এগিয়ে আসে। এ সময় ধর্ষক চাদাইকে তার পাশে দাঁড় করিয়ে মোবাইল দিয়ে তাদের দু’জনের ভিডিও করে বাদশা। এরপর বাদশা তাকে খারাপ চরিত্রের মেয়ে বলে প্রচার করার চেষ্টা করে এবং বিষয়টি নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না করা হয় সেজন্যও তাকে হুমকি দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় গত ২১শে মে তিনি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারায় উল্লেখিতদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ বাদশা ও শরীফুলকে গ্রেফতার করা হয়। কালুখালী থানার মামলা নং-১১।
বাদশা ও শরীফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর থেকেই বাদশার বন্ধু শহিদ ও ছোটনসহ তাদের সহযোগিরা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি তার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকেও অপহরণের হুমকী দেয়া হচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, কালুখালী উপজেলার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি আসামীদের পক্ষ নিয়েছেন এবং থানায় মামলা রেকর্ড করায় ওই জনপ্রতিনিধি থানার কর্মকর্তাকে ফোন করে আসামীদের পক্ষে তদবীর করেছে বলে বলে আমি জেনেছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ধর্ষক বাদশা বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। উঠে এসেছে চাঁদপুর বাসষ্ট্যান্ডে জেলা পরিষদের যাত্রীর ছাউনির নিচে একটি দোকান-ঘর জোর পূর্বক দখল করার ঘটনা।