॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট(ই-পাসপোর্ট) কার্যক্রমের উদ্বোধন আজ বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন।
এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় জার্মান কোম্পানী ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।
জানা গেছে, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরী ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরী ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরী ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরী ফি ৯০০০ টাকা।
নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরীতে ৩দিনে, জরুরীতে ৭দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২দিনে, জরুরী পাসপোর্ট ৩দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরী ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরী ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ(বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র(এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।