॥ইউসুফ মিয়া॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হুদা’র নেতৃত্বে গতকাল ২১শে জানুয়ারী পাংশা উপজেলার ড্রাম চিমনীর ৩টি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে প্রথমে লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকাসহ কাঠ পোড়ানোর দায়ে যশাই ইউনিয়নের জেকেবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটি চিমনীসহ ভেঙ্গে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোক দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলার পাশাপাশি ইটভাটার মালিক যশাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন খানকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অপরাধে হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের এসকেবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটি একইভাবে চিমনীসহ ভেঙ্গে দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোক দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলার পাশাপাশি ইটভাটার মালিক তানভীর রহমানকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর একই এলাকায় অবস্থিত এসকেবি-২ নামের ইটভাটাটি একইভাবে ভেঙ্গে দেয়াসহ ফায়ার সার্ভিসের লোক দিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলার পাশাপাশি ইটভাটার মালিক কামাল মন্ডলকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড.মোঃ লুৎফর রহমান এবং প্রসিকিউটর হিসেবে ইন্সপেক্টর তুহিন আলন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সূর্য কুমার প্রামানিকসহ একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালতের আভিযানিক দলের সাথে অংশগ্রহণ করে। তারা ইটের আকৃতির পরিমাপে কারচুপির দায়ে এসকেবি-১ ও এসকেবি-২ ইটভাটাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
অভিযানের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। সে অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে পাংশার ৩টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইটভাটা ৩টিকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়াসহ মালিকদের ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।