॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে গতকাল ২১শে জানুয়ারী বেলা ১১টায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির মাসিক সভা ও কিশোর কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটির সভা কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার কাজী শফিউল আজম শুভ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আলীমুর রেজা, এনজিও রাসের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান লাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধিগণ, কমিটির অন্যান্য সদস্যগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, আগামী ১৭ই মার্চ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করা হবে। সেই লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলাও বছরব্যাপী সকল সরকারী দপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। জাতির জনক দেশের সাধারণ মানুষকে যেভাবে বিভিন্ন সেবা প্রদানের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে জেলার প্রতিটি সরকারী দপ্তর যদি তার জন্মশতবার্ষিকীতে বিশেষ সেবা প্রদান করে তাহলে জাতির জনকের প্রতি প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে বলে আমি মনে করি। মূলতঃ তার জন্মশতবার্ষিকী উৎসবের মাধ্যমে পালন করা মূখ্য নয় বরং যে যেই সেবা জনসাধারণকে প্রদান করছেন সেটার মাধ্যমে বিশেষ কিছু পালন করাই মূখ্য। আজকের পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভার মতো প্রতিনিয়ত অনেক সভা হয়, তাতে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনাসহ বিজ্ঞজনেরা তাদের মতামত, পরামর্শ ও কর্ম-অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই সকল আলোচনা শুধুমাত্র চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ হয় খুবই কম। আমরা প্রতিনিয়তই বাল্য বিবাহ নিয়ে ভালো ভালো বক্তব্য দেই। কিন্তু আমি নিজে অনেক জায়গায় বিয়ে হয়ে সংসার করছে এমন অল্প বয়সী অনেক মেয়েকে দেখেছি এবং তাদের সাথে কথা বলেছি। প্রকৃত অর্থেই মনে হয়েছে তাদের অভিভাবকগণ বাল্য বিবাহ নিয়ে সচেতন নন। আমাদের এই সভা শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর দ্বারা যাতে জনগণ উপকৃত হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে। তবেই আমরা যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-২০৩০ এর কথা বলি সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে। সে জন্য আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও সভায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়সহ কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভা ছাড়াও একই স্থানে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভা, এনজিও সমন্বয় কমিটির সভা এবং এসডিজি বাস্তবায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকগুলোর কৃষি ঋণ বিতরণ, এনজিওগুলোর কার্যক্রম এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।