॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ মুজিববর্ষকে সামনে রেখে গতকাল ১০ই জানুয়ারী রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে ডিজিটাল সিকিউরিটি ও সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যবহার শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
গোয়ালন্দ আব্দুল হালিম মিয়া কলেজের উদ্যোগে কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কানাডা প্রবাসী আব্দুল হালিম মিয়া।
গোয়ালন্দের বাসিন্দা, বিশে^র বিভিন্ন দেশে বসবাসরতদের নিয়ে সংগঠন ‘গোয়ালন্দ প্রবাসী ফোরাম’-এর সার্বিক সহযোগিতায় ডিজিটাল সিকিউরিটি ও সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যবহার শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সেমিনারে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদৎ হোসেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির পরিচালক এম সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহা ব্যবস্থাপক দুলাল চন্দ্র সরকার, জনতা ব্যাংকের উপ-মহা ব্যবস্থাপক(ডিজএিম) সারোয়ার হোসেন, সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক(এজিএম) আকতার হোসেন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ-এর সাবেক ডিএমপি আক্তার কামাল তালুকদার, গোয়ালন্দের সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আব্দুল হালিম মিয়া কলেজের কো-ফাউন্ডার অধ্যাপক ফকীর নুরুজ্জামান, সরকারী কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মুহিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, রাবেয়া ইদ্রিস ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের শেখ, ফ্রান্স প্রবাসী মোঃ আশরাফুল ইসলাম, শোয়েব হাসান, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি আজু শিকদার সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ প্রমুখ। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দসহ কর্র্মশালায় ১৫০জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব পালন করেন প্রথম আলো গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সদস্যরা।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস আক্তার। এরপর মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হালিম মিয়া ও বিডি জোবস-এর সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক সোয়েব আক্তার।
প্রাবন্ধিক তার প্রবন্ধে প্রযুক্তি ব্যবহারের নানাবিধ সতর্কতা এবং ক্ষতির বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেন। একই সাথে কিভাবে নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় সে বিষয়েও পরামর্শ প্রদান করা হয় মূল প্রবন্ধে। অন্যান্য বক্তারা ডিজিটাল ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নানান অবদান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সম্পূর্ণ রুপে ইন্টারনেট ভিত্তিক। যে ইন্টারনেটকে প্রযুক্তির কল্যাণে ব্যবহার করার কথা, সেটাকে গুজবের হাতিয়ার হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ইন্টারনেটে ব্যবহারে আনাড়ি তবুও আমাদের হাতে সব ধরনের প্রযুক্তি আছে। আর এজন্য প্রযুক্তি অপব্যবহার হবে এটাই স্বাভাবিক, এখন আবার ভার্চুয়ালি চাঁদাবাজীসহ তথ্য চুরির ঘটনা ঘটছে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক ও সচেতন না হলে অপূরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।