॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এসআরএসসিপিএস কার্যক্রমের আয়োজনে গতকাল ২৫শে মে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলার সকল পুরোহিত ও সেবাইতদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এসআরএসসিপিএস কার্যক্রমের ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা বিকাশ কুমার শীল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গণেশ চন্দ্র মন্ডল, জজ কোর্টের জিপি এডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন ও পুরোহিত দেবী প্রসাদ গোস্বামী প্রমুখ।
এ সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাজিনুর রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণসহ পুরোহিত ও সেবাইতগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সনাতন ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। এদেশে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুরা যুগ যুগ ধরে তাদের ধর্ম পালন করে আসছে। সেই জন্য সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। যাতে এদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সরকারী সুযোগ-সুবিধাসহ যে কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়। তারই ধারবাহিকতায় আজকে জেলার হিন্দু পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের এসআরএসসিপিএস কার্যক্রমের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে তাদেরকে হিন্দু আইন, ডিজিটাল টেকনোলজীর ব্যবহার, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, কৃষিসহ আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যে সমস্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন প্রদান করা হবে। আমি আশা করব, তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই সকল বিষয়ে সচেতন করে তুলবেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের এক নম্বর সমস্যা হচ্ছে মাদক ও জঙ্গীবাদ। এছাড়াও সন্ত্রাস, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা আমাদের রয়েছে। সরকার এই সমস্যাগুলো সমাজ থেকে নির্মূলের লক্ষ্যে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। আমি আশা করব, জেলার সকল পুরোহিত ও সেবাইতগণ দেশের স্বার্থে সরকারের সাথে তাদের ধর্মাবলম্বীদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলবেন। বিশেষ করে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরী করতে বিশেষ অবদান রাখবেন বলে আমি আশা করি।