॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘আপনার রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বন্ধন’-স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে যাত্রা শুরু করলো ‘গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাব’।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু নিজে রক্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্লাড ডোনার ক্লাবের উদ্বোধন করেন। সন্ধানীর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ইউনিট ও গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্লাবটির যাত্রা শুরু হলো। এ উপলক্ষে সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মাঠে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিকস পরীক্ষা ও ব্লাড প্রেশার মাপা হয়। অন্যান্যের মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন গোয়ালন্দ পৌরসভার কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন রনি এবং দৈনিক প্রথম আলোর গোয়ালন্দ প্রতিনিধি রাশেদুল হক রায়হান।
প্রথম রক্ত দিতে এসে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কলেজ ছাত্র এনামুল হক লিটন বলেন, রক্ত দেয়ার কথা শুনলেই আমি অনেক ভয় পেতাম। আজকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ দেখে সাহস নিয়েই এক ব্যাগ রক্ত দান করলাম। এখন থেকে নিয়মিতই রক্তদান করবো ইনশাল্লাহ্।
গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সভাপতি সেলিম মুন্সি বলেন, কিছু উদ্যোমী তরুণকে নিয়ে আমরা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যাত্রা শুরু করেছি। এখন থেকে ক্লাবের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিকস পরীক্ষা, ব্লাড প্রেশার মাপা ও যে কোন মানুষ প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করতে পারবে। রক্ত সংগ্রহে রাখতে আমরা সকল ব্যবস্থা করেছি।
সংগঠনটির ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলায় এই প্রথম কোন ব্লাড ডোনার ক্লাব গঠিত হলো। প্রথম দিনেই আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রক্ত প্রদানের মাধ্যমে এই ক্লাবের সদস্য হওয়া যাবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, আমি সুযোগ পেলেই রক্ত দিয়ে থাকি। একজন সুস্থ শরীরের মানুষ তিন মাস পর পর রক্ত দিতে পারে। এতে তার কোন ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই। তাই সুস্থ মানুষদের নিয়মিত রক্ত দেয়া উচিত। গোয়ালন্দে এমন সংগঠনের যাত্রায় নিজেই প্রথম রক্ত দিয়ে উদ্বোধন করলাম। আশা করি সংগঠনটি অনেক ভালো সেবা দিতে পারবে।