॥মনির হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী রেলস্টেশন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান স্থানীয়দের বাঁধায় ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল ৯ই ডিসেম্বর সকালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশের একটি দল নিয়ে কালুখালী রেলস্টেশন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে যায়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীরা তাদেরকে বাঁধা দিয়ে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় চায়। এক পর্যায়ে রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিমও উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে কথা বলে সময় দেয়ার অনুরোধ জানালে তারা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রেখে ১৫দিনের সময় দিয়ে চলে যান।
রেলের জায়গায় ব্যবসা করা কয়েকজন দোকানী বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালাতে আসে। আমরা আমাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের কাছে সময় চাই। পরে তারা ১৫দিনের সময় দিয়ে চলে যান। তারা আরও বলেন, আমরা রেলওয়ের কাছ থেকে বৈধভাবে লীজ নিয়ে সরকারী রাজস্ব দিয়েই ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু ঘুষ না দিলে তারা খাজনা নেয় না।
কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো বলেন, সেখানে যারা ব্যবসা করে তারা বৈধভাবেই ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু তাদের অভিযোগ, বাড়তি ঘুষের টাকা না দিলে লীজের অর্থ গ্রহণ করা হয় না। এভাবেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকারী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ভূমি-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, ওই জায়গায় রেলওয়ের সম্পত্তি লীজ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ তারা রেল লাইন ঘেঁষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বেআইনীভাবে ব্যবসা করছে। মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য দখলদারদের আগামী ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে পিডিআর অ্যাক্টে মামলা দায়েরসহ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।