শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

আইইডিসিআর অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে ইদানিং বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে খেজুরের কাঁচা রস নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে।
আবার কোথাও কোথাও খেজুরের কাঁচা রস পান উৎসবও পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে শীত মৌসুমে মূলতঃ খেজুরের কাঁচা রস পাওয়া যায়।
আইইডিসিআর ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে জনগনকে সর্তক করে আসছে। খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ যা বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হচ্ছে- জ্বরসহ মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়াসহ কোন কোন ক্ষেত্রে মারাত্মক শ্বাস কষ্ট।
নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্ব সাধারনের জন্য কিছু পরামর্শ ঃ ১। খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না।, ২। কোন ধরনের বাদুড়ে খাওয়া আংশিক ফল খাবেন না, ৩। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
বাংলদেশে সাধারণত শীতকালে নিপাহ সংক্রমণ দেখা যায়। এই সময়ে খেজুরের রস পানে বিরত থাকুন। এই বিষয়ে দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের প্রতি আইইডিসিআর আহবান জানাচ্ছে- দয়া করে খেজুরের রস সংক্রান্ত উৎসবসহ যে কোন আয়োজন থেকে বিরত থাকুন।
আমরা আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই যে নিপাহ একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখনও কোন চিকিৎসা নেই। ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এই রোগে মৃত্যু হার শতকরা ৭০ ভাগ।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আইইডিসিআর এর ওয়েব সাইটে www.iedcr.gov.bd পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল ৮ই ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রিন্ট, ইলেকঢ্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়াসহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!