॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা-হাবাসপুর সড়কের বীরু মন্ডলের ঘাট এলাকার ব্রীজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যানবাহন ও জনগণ ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হয়েছে। যে কোন সময় সেখানে দুর্ঘটনার শংকা বিরাজ করছে।
পাংশা উপজেলা সদর থেকে যশাই ইউনিয়ন হয়ে হাবাসপুর-বাহাদুরপুর সড়কের উপরে অবস্থিত আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। শুধু এসব এলাকাই নয়, পাবনা সুজানগর এলাকার মানুষও ব্রীজটি নিয়মিত ব্যবহার করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারী আকৃতির ব্রীজটির মাঝ বরাবর ভেঙ্গে বসে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা সেখানে স্টীলের প্লেট বসিয়ে চলাচলের উপযোগী করে রেখেছে। তা সত্ত্বেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
অটোরিক্সা চালক রাচ্চু শেখ বলেন, অটো নিয়ে ব্রীজটি পার হওয়ার সময় যাত্রীরা আগেই নেমে যায়। পায়ে হেঁটে ব্রীজ পার হয়ে আবার অটোয় ওঠে। আমারও ভয় করে। দ্রুত এখানে একটি নতুন ব্রীজ করা প্রয়োজন।
হাবাসপুরের বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, আমাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটি পার হতে হয়। যে কোন সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। রিক্সা-ভ্যান ও অটো’র মতো ছোট গাড়ী ছাড়া বড় যানবাহন চলার উপযোগী না থাকলেও বালুবাহী ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে। এতে দুর্ঘটনার আশংকা আরো তীব্র হচ্ছে।
এ বিষয়ে যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল বলেন, ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটির জায়গায় দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণ করা দরকার। না হলে যে কোন সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, সেখানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। আশা করি শীঘ্রই নতুন ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে ব্রীজটির মধ্যবর্তী অংশ ভেঙ্গে গেলে ছোট যান ও জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সেখানে স্টীলের প্লেট বসানোর ব্যবস্থা করেছি। বালুবাহী ট্রাকসহ ভারী যানবাহনগুলোকে ব্রীজটি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নতুন ব্রীজটির নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে ব্যাপারে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সদ্য বদলী হওয়া পাংশা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর বাদশা বলেন, সেখানে নতুন ব্রীজের অনুমোদন হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রীজ এলাকার সয়েল টেস্টের(মাটি পরীক্ষা) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শীঘ্রই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আমি মনে করি।