বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গোয়ালন্দে ছোট ভাকলায় অগ্নিকান্ডে চানাচুর মামা-ভাগ্নে ফ্যাক্টরীর ১০ লক্ষ টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

॥মেহেদুল হাসান আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের নলডুবি এলাকার মৌলভী বাজারে একটি চানাচুর ফ্যাক্টরীতে গত ১২ই নভেম্বর দিনগত রাত ১১টার দিকে অগ্নিকান্ডে ফ্যাক্টরীর ১০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় “মামা-ভাগ্নে” চানাচুর নামে ওই ফ্যাক্টরীর মালিক ও শ্রমিকরা দৈনন্দিন কার্যক্রম শেষ করে রাত ৯টার দিকে ফ্যাক্টরীটি বন্ধ করে চলে যায়। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাজারের অন্য দোকানের কর্মচারীরা ওই ফ্যাক্টরীতে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায় তারা গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিখায় ওই চানাচুর ফ্যাক্টরীর মেশিন পত্রসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ সময় দেখা যায়, আগুনে ফ্যাক্টরীটিতে থাকা তৈরীকৃত চানাচুর ও অন্যান্য মালামালসহ ফ্যাক্টরীটির যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু পোড়া ঢেউটিন ও সিমেন্টের পাকা খুটিগুলি দাড়িয়ে রয়েছে।
মৌলভী বাজারের পাশের মোঃ ইয়ার হোসেন ও আঃ মান্নান জানান, প্রায় ১বছর আগে নুরুল ইসলাম শেখ, কুদরত মন্ডল ও মনির হোসেন নামে তিন ব্যক্তি “মামা ভাগ্নে” নামে ওই চানাচুর ফ্যাক্টরীটি তৈরী করেন। সুনামের সাথেই তারা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। হঠাৎ কি কারনে আগুন লাগল যা বোঝা যায়নি। আগুনে তাদের প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ফ্যাক্টরীর ভিতরে থাকা তেল ও তৈলজাত পন্য এবং প্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত পলিথিনের কারনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফ্যাক্টরীতে বাহির থেকে দরজায় তালাবদ্ধ থাকায় কোন কিছু বেড় করা সম্ভব হয়নি। যার কারনে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হয়েছে।
ফ্যাক্টরী মালিক নুরুল ইসলাম ও কুদরত আলী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন আমরা শমিকদের বিদায় করে দিয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ী চলে যাই হঠাৎ বাজার থেকে ফোন পেয়ে ছুটে এসে দেখি আগুনে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তারা তা বলতে পারেননি। এ সময় বলেন প্রায় কোন রকমে বেঁচে থাকার আশায় আমরা ৩জন মিলে মাত্র বছর খানেক আগে ফ্যাক্টরীটি চালু করেছিলাম। আজ কি কারনে কি হলো কিছুই বঝতে পারছি না। তাদের ১১ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, চানাচুর ফ্যাক্টরীতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। এ সময় তিনি আরো বলেন, ওই চানাচুর ফ্যাক্টরীর চুল্লির আগুন থেকেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!