॥জুলফিকার আলী॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ হাট এলাকায় স্থাপিত মা ফাতেমা(রাঃ) হাফেজিয়া মাদ্রাসাটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।
২০০৬ সালে স্থাপিত মাদ্রাসাটি পর্যাপ্ত জায়গা, অর্থ ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সফলভাবে গড়ে উঠতে পারেনি।
গতকাল ১৩ই অক্টোবর মাদ্রাসাটি পরিদর্শনকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি লতিফ মিয়া জানান, পর্যাপ্ত জায়গা ও সঠিক সময়ে অর্থ না পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসার স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকগণ নিয়মিতভাবে সাহায্য-সহযোগিতা না করায় এবং সরকারী সাহায্য না পাওয়ায় নির্মিত স্থাপনাগুলো সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যে সকল এতিম শিশুরা মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে অবস্থান করছে তারা পাঠ্য-পুস্তক, শিক্ষা উপকরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার, ওষুধ কোনকিছুই চাহিদামতো পাচ্ছে না। বর্তমানে ৫২ জন এতিম শিক্ষার্থী এখানে কোরআনের হাফেজ হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করছে। মাদ্রাসার সমস্যার কথা বলতে গিয়ে শিক্ষকগণ বলেন, মাত্র ২শতাংশ জমির ওপর মাদ্রাসার একটি ঘর নির্মিত।
মাদ্রাসার জমিদাতা হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন, বাংলাদেশ হাট নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সংলগ্ন আমার ২শতাংশ জমিই ছিল-যা আমি ধর্মীয় শিক্ষার স্বার্থে দান করেছি। যাদের অনেক জায়গা-জমি রয়েছে তারা যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়ান তাহলে এই কোরআন শিক্ষার মাদ্রাসাটি একদিন অত্র এলাকার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
বাংলাদেশ হাট নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার জায়গার উপর এই হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের থাকার ঘর, ওজু-গোসলখানা ও ল্যাট্রিন নির্মিত হওয়ায় উক্ত মাদ্রাসার কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
ছাত্ররা জানায়, তাদের থাকার ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও ফ্যান নেই, ওজুখানা ও ল্যাট্রিনের অবস্থা খুবই খারাপ। মোট কথা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত এগুলোর সংস্কার করা জরুরী। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।