॥টোকিও প্রতিনিধি॥ জাপানের ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ৫০ জন তথ্য প্রযুক্তি প্রকৌশলীকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
এ উপলক্ষে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশের দূতাবাস গতকাল ১৮ই সেপ্টেম্বর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করে।
এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ খায়রুল আমিন এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকিসহ প্রশিক্ষণার্থীগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দূতাবাসের সঠিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার কারণে জাপানের তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, গত জানুয়ারী মাসে টোকিওস্থ বাংলাদেশের দূতাবাদ ও ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে জাপানে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে একটি সেমিনারের আয়োজন করে, যেখানে জাপানের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি যোগদান করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়, যার ফলে জাপানী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় গত জুন মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। সমঝোতা স্মারকটির মূল প্রতিপাদ্য, ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাজুয়েট ও প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে-যাতে তারা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাত সম্পর্কে জাপানী ব্যবসায়ীদের অবহিত এবং বিনিয়োগে সহায়তা করতে পারেন।
এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনেকে জাপানেই চাকরীর সুযোগ পাবেন এবং অন্যরা জাপানের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।
ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি বলেন, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে আইটি ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশকে ‘বিগ ডাটা’, এ.আই, রোবটিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরীতে সহায়তা করা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ খায়রুল আমিন।
উল্লেখ্য, টোকিওস্থ বাংলাদেশের দূতাবাস ২০১৭ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকা)’র সাথে অনুরূপ একটি উদ্যোগ নিয়েছিল, যা ‘মিয়াজাকি মডেল’ নামে পরিচিত। মডেলটির মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের বাংলাদেশেই প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পরবর্তীতে জাপানে নিয়োগের ব্যবস্থা করছে।