॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘সচেতনতার অভাবে’ রাজবাড়ীতে বিকাশ প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাদ যাচ্ছেন না বিকাশের এজেন্টরাও। প্রতিনিয়ত বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ৬ই সেপ্টেম্বর দুপুরে দৈনিক যুগান্তরের রাজবাড়ী প্রতিনিধি হেলাল মাহমুদের ০১৭১০০১৪০৭৪ নম্বরের মোবাইল ফোনে (বিকাশ একাউন্টযুক্ত) ০১৮২৪০১৮১১৪ নম্বরের মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে বিকাশের হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক নারী বিকাশ একাউন্টে সমস্যার কথা বলে কৌশলে তার বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে একাউন্টে থাকা ১হাজার ৪৫টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগে একইভাবে গত এক সপ্তাহ আগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়ার তুহিন নামের এক ব্যক্তি ক্যাশ ইন করতে গিয়ে প্রায় ৭৩ হাজার টাকা খোয়ান।
গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা বাজারের সালাউদ্দিন নামের একজন বিকাশের এজেন্ট বলেন, ‘প্রতারকরা মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে বিকাশের গ্রাহক, এজেন্ট সকলেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।’
রাজবাড়ীর বিকাশের পরিবেশক মাহি ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আব্দুল কুদ্দুস খান বাবু বলেন, প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এভাবে প্রতারিত হচ্ছে বলে তাদের এস.আরদের মাধ্যমে জানতে পারছেন। সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসন সক্রিয় হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’
রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘মাঝে-মধ্যেই বিকাশ প্রতারণার অভিযোগ আসছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত এক বছরে র্যাবের হাতে এ ধরনের বিকাশ প্রতারণার সাথে জড়িত প্রায় অর্ধ-শতাধিক প্রতারক গ্রেফতার হয়েছে, যারা মূলতঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সিম, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, রাউটারসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়। তা স্বত্ত্বেও বিকাশ প্রতারকদের দৌড়াত্ম্য থামেনি। এসব প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতাই মূখ্য বিষয়।