॥নিউইয়র্ক থেকে তোফাজ্জল লিটন॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে গত ১৫ই আগস্ট দোয়া মাহফিল শেষে প্রায় ১০হাজার মানুষের মধ্যে তবারক হিসেবে খাবার পরিবেশন করা হয়।
‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’ নামের বাংলাদেশীদের একটি সংগঠনের আয়োজনে জ্যাকসন হাইটসের কেন্দ্রস্থলের ‘খাবার বাড়ী’ নামের একটি বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এই খাবার পরিবেশন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ১০টি গরু, ৬টি ছাগল, সাড়ে ৩শত মোরগ, সাড়ে ৪হাজার ডিম রান্না করা হয়। সঙ্গে ছিল সাদা ভাত, পোলাও, পায়েস ও নানা ধরনের পানীয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাকিল মিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস, উৎসব ও ঈদের দিনগুলো এভাবে পালন করে আসছি। এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের প্রতিটি সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা এতো বড় একটি আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। যারা গরু-ছাগলসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ফেসবুকে অনুষ্ঠানের লাইভ দেখে একটি ফেরী ও দুটি ট্রেনে চড়ে স্টেটেন আইল্যান্ড থেকে এই আয়োজন দেখতে আসা ৫২ বছরের এমদাদুল ইসলাম বলেন, বাঙালি বসবাস করে এমন ৩৪টি দেশে আমি গিয়েছি, আমেরিকায় আছি ৩০ বছর ধরে। আমার জীবনে এতো বিশাল আয়োজন কোথাও দেখিনি এবং শুনিও নাই কোনো কালে।
সংগঠনের কো-চেয়ারপার্সন শাখাওয়াত বিশ্বাস বলেন, মানুষ যত পরিমান চেয়েছে আমরা তত পরিমান দিয়েছে। অনেকে পরিবারের জন্য খাবার বাটিতে করে নিয়ে গেছে। মানুষ খাওয়া-দাওয়া করার পরে তাদের চেহারায় যে তৃপ্তি দেখেছি এটাই আমাদের সফল্য আর তাতেই বঙ্গবন্ধুর আত্ম শান্তি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
জ্যাকসন হাইটসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক বিভাস মল্লিক বলেন, এতো বড় আয়োজন অথচ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কাউকে বক্তব্য দিতে দেখলাম না। এমন সার্বজনীন সামাজিক সংগঠেনের আয়োজন দেশে-বিদেশে কোথাও চোখে পড়ে নাই।
সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকীর এই আয়োজনে নিরলস পরিশ্রম করেছেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন বিপ্লব সাহা, কো-চেয়ারপার্সন শাখাওয়াত বিশ্বাস, মামুন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম নমি, কর্মসূচীর আহ্বায়ক সোহেল রানা, সহ-সভাপতি মনির দেওয়ান মনির, মোঃ মানিক বাবু, কবির চৌধুরী, আসাদুল ইসলাম আসাদ, হাসনাত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, শাহীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব জনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, প্রচার সম্পাদক নান্টু মিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলমগীর খান আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক মুক্তা মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু ও সাহিত্য সম্পাদক গোপাল স্যান্যালসহ অন্যান্যরা এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।