॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জোট নিরপেক্ষ দেশ (ন্যাম) এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এসোসিয়েশন (আসিয়ান) ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে অসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
গতকাল ২১শে জুলাই ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ন্যাম কোর্ডিনেটিং ব্যুরো’র মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয় এবং এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালানো আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ ভেনিজুয়েলা থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ন্যাম মিনিস্ট্রিয়ালের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তি এগিয়ে নেওয়া ও সুসংহত করা’।
অধিকৃত ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি দীর্ঘ নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে সংঘটিত অমানবিক ও বর্বর কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব নয়। দেশগুলো যাতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় আমাদেরকে অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীদের দায়-দায়িত্ব নিরূপনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যোগদানের যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা স্মরণ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “বাংলাদেশ এখনও জাতির পিতার সেই নীতি-আদর্শ ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের কর্মকান্ড থেকে অনুপ্রাণিত হয়। যা আজকের বিশ্বে চলমান অস্ত্রের বিস্তার, শুধু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের আধিক্য, জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তঃসাংস্কৃতিক সংঘাত ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযোজ্য হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপ ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ৮৫টি দেশের ১৬ জন মন্ত্রীসহ উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এই মিনিস্ট্রেরিয়াল সভায় যোগ দেন। ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ অ্যার্রিয়াজা মন্টসের্রাট এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বক্তব্য প্রদান করেন।
ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৭ থেকে ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত এই সভায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার পলিটিক্যাল ড. মো. মনোয়ার হোসেন।