॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ চলতি বছর রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে কলা চাষ হয়েছে। ধান, পাট, আলু, মরিচের পাশাপাশি দিন দিন কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। চারা রোপনের ৯ থেকে ১১ মাসের মাথায় কলা বিক্রির উপযোগী হয়। একর প্রতি ১২০০ চারা রোপন করা যায়, পরিচর্যাসহ এতে খরচ হয় প্রায় ১লক্ষ টাকা। কলা বিক্রি হয় প্রায় ৩লক্ষ টাকার। একবার কলা চাষ শুরু করলে ৫বার ফসল পাওয়া যায়। এ উপজেলায় কাঁচাকলা, সবরি কলা এবং মদনা কলা-এই তিন জাতের কলা চাষ করেন কৃষকরা। তবে কাঁচা কলার উৎপাদন বেশী।
কলা চাষী মাহাতাব শেখ জানান, ২৫ শতাংশ জমিতে ২৫০ থেকে ৩০০ গাছ রোপন করা হয়ে থাকে। যেখান থেকে আমরা ৩৫ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকি। খরচ প্রসঙ্গে বলেন, আর্থিক খরচ কম। শুধুমাত্র দুইবার সার এবং একবার সেচ দিতে হয়।
আরেক কৃষক মোস্তফা শেখ বলেন, কলা রোপন করেল সবরি কলা ৩ বছর থাকে, কাঁচা কলা ৭-৮বছর থাকে, মদনা কলা থাকে প্রায় ১০ বছর। তিনি বলেন ,কলা চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। তাই এখানে কলা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ উপজেলার কলা রাজধানী ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানান, কলার ফুল বের হবার সাথে সাথে পাইকারী বিক্রেতারা বাগান ক্রয় করে থাকে। এই উপজেলা থেকে সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০টি ট্রাকভর্তি কলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে। কলা বিক্রি করে অর্থের পাশাপাশি কলা গাছ গরুর খাদ্য এবং কলার শুকনা পাতা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
কলা চাষ নিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের মাটি উঁচু, চাষে ঝুঁকি কম এবং বিক্রয়ের সুবিধার জন্য কলা চাষে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, কলা চাষে আমরা কৃষককে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ প্রদান করে থাকি।