॥রফিকুল ইসলাম/চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ীতে নানা আয়োজনে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয়, দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী বের হয়ে রাজবাড়ী বাজার ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী কেরামত আলীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এই বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যার ফকীর আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, প্রফেসর ফকরুজ্জামান মুকুট, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ শফিকুল আজম মামুন, এডঃ রফিকুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস.এম নওয়াব আলী, সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম পিন্টু, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন সিকদার, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ উজির আলী শেখ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ উমা সেন, দপ্তর সম্পাদক ও বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, সহ-দপ্তর সম্পাদক ও শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ভূইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাইফুদ্দিন হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ রাজু আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মীর মাহফুজা খাতুন মলি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু ও সাধারণ সম্পাদক জিহাদুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত জন্ম-ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আওয়ামী লীগের কারণে এ দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। যাদের অবদানে আজকের এই বাংলাদেশ তাদেরকে আমি গভীরভাবে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাদেরকে বেহেশত নসীব করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দেশের সবাই আজ ভালো আছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, আওয়ামী লীগ না হলে বাংলাদেশের জন্মই হতো না। এই দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর জেল খেটেছেন। জেলে বসেও তিনি এ দেশের মানুষের মুক্তির কথা ভাবতেন, স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু এদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে সেই সময় দেয়া হয় নাই। আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল সেটা আদৌ স্বাধীনতা ছিল না। বাংলাকে আলাদাভাবে স্বাধীন করে তবেই সেই স্বাধীনতা আনতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের সব সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আলোচনা সভার শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আটাশ কলোনী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ সেলিম দেওয়ান।