॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আগামী ২৫শে জুলাই রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মুন্সী। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এবং মোস্তফা পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠান ২টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ঢল্লাপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ নাজিম উদ্দিন মুন্সীর পুত্র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মুন্সীর জন্ম ১৯৬২ সালে। দৌলতদিয়ার যদু মাতুব্বর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপাড়া করেছেন। আশির দশকে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিভিন্ন মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে তাকে হয়রানী করা হলে একপর্যায়ে ১৯৯৫ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান। সেখানে দীর্ঘ ১যুগেরও বেশী সময় থাকার পর দেশে ফিরে এসে ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসার পর ২০১১ সালে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতুব্বরপাড়ায় (মকবুলের দোকান ও জমিদার ব্রীজের মাঝামাঝিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে) মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ ও মোস্তফা পিভিসি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ গড়ে তোলেন। সেখানে স্থানীয় চার শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতিষ্ঠান ২টি থেকে বিশ্বমানের পিভিসি দরজা, সিলিং, পাইপ, কোরিয়ান ক্যাপস উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার প্রতিবেশী ভারতে সুনামের সাথে এগুলো রপ্তানী হচ্ছে।
শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মুন্সী রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মোস্তফা ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রোপাইটর। প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত।
বন্যা ও নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের মধ্যে বিপুল পরিমাণে ত্রাণ বিতরণসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা করে সুনাম অর্জন করেছেন।
দৌলতদিয়ার ফকীর আব্দুল জব্বার কলেজ ও আব্দুল হালিম কলেজের ডোনার হিসেবে প্রতি মাসে অর্থ সহায়তাসহ তার প্রতিষ্ঠান দু’টির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ চালানো হয়। দৌলতদিয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার যে কোন এলাকার গরীব-অসহায় মানুষ তার কাছে গেলে তিনি সাধ্যমত তাদেরকে সহায়তা করেন।
আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মুন্সী ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তারপর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রেখে চলেছেন। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিশেষ জোরালো ভূমিকা রেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছেই তিনি অত্যন্ত প্রিয়।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ জন পুত্র সন্তানের জনক। তাদের মধ্যে ৩জন প্রতিষ্ঠান ২টির দায়িত্বশীল পদে কর্মরত এবং ১জন লেখাপড়া করছেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মোঃ মামুন মুন্সী প্রতিষ্ঠান দু’টির চেয়ারম্যান, মেঝ ছেলে মোঃ সেলিম মুন্সী পরিচালক, মোঃ শাহরিয়ার সাগর একাউন্টস সেকশনের এক্সিকিউটিভ পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কনিষ্ঠ পুত্র মোঃ তুষার ইমরান গাজীপুরের বোর্ড বাজারে অবস্থিত ওআইসিভুক্ত খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (আইইউটি)’তে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। তার স্ত্রী মিসেস কমলা বেগম একজন গৃহিনী এবং মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর শেয়ার হোল্ডার।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মুন্সী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি যতটা সম্ভব মানুষের জন্য কাজ করে থাকি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হলে মানুষের সেবা করার অনেক বেশী সুযোগ পাওয়া যায়। এ জন্যই জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচিত হলে দৌলতদিয়া ইউনিয়নকে সারা দেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। বন্যা ও নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের দুর্দশা লাঘবের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। সামাজিক কর্মকান্ড জোরদার করবো। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো। আমি দৌলতদিয়া ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও সমর্থন চাই।