॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ প্রথম আলো গোয়ালন্দ বন্ধুসভার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সিলিং ফ্যান দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে ইসিজি কক্ষে কোন সিলিং ফ্যান না থাকায় প্রচন্ড গরমে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। বন্ধুসভার সদস্যরা রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে নিজেদের উদ্যোগে ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নতুন সিলিং ফ্যান তুলে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মোঃ আসিফ মাহমুদের হাতে। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, বন্ধুসভার সম্মানিত সদস্য, ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ও বন্ধুসভার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রথম আলো প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা এম রাশেদুল হক রায়হান, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মিলন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক মৃধা, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ শেখ, সদস্য মো. সামছুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্ধুসভার সম্মানিত সদস্য আশরাফুল আলম জানান, প্রথম আলো বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি শেখর আহম্মেদ বাবু গত রোববার রাতে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জরুরীভাবে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরদিন গত সোমবার সকালে তাকে বুকের পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক ইসিজি করানোর পরামর্শ দেন। নির্ধারিত কক্ষে ইসিজি করাতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোন সিলিং ফ্যান নাই। প্রচন্ড গরমের মধ্যে ছোট্র কক্ষটিতে রোগীদের নাভিশ্বাস অবস্থায় গিয়ে দাড়ায়।
আগত সাধারণ রোগীদের এমন দুর্দাশার কথা বন্ধুসভার ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তুলে ধরলে গতকাল বন্ধুসভার সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় জরুরীভাবে ওই কক্ষে একটি সিলিং ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা করে দিয়ে আসে বন্ধুসভার সদস্যরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এমন সরকারি হাসপাতালে অর্থের অভাবে আমরা অনেক কিছুই করতে পারছিনা। রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ইসিজি কক্ষে কোন সিলিং ফ্যান পর্যন্ত বসানো যায়নি। এমন অবস্থায় প্রথম আলো গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সদস্যরা এভাবে এগিয়ে আসবে ভাবতেই পারিনি। প্রথম আলো পত্রিকা এবং তার পাঠক সংগঠন বন্ধুসভাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই মহতি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য।