বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কালুখালী উপজেলার নৌকার প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট সময় রবিবার, ২ জুন, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে হুমকী দিচ্ছে নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম। এমন অভিযোগ করেছেন কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু। গতকাল ১লা জুন বেলা সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাঃ হালিমা বেগম, সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী, কালিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান নবাব, মৃগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সাগর, কালুখালী থানা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ ইউসুফ হোসেন, সাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আকামত আলী মন্ডল, জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম খয়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির হোসেন ও রতনদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মজুন বলেন, কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করছেন। কাজী সাইফুল ইসলাম অন্ধকার জগতের মানুষ ছিলেন। গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আমরা সবাই কষ্ট করে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছিলাম। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই শুরু করেন আসল খেলা। আমরা অনেকেই তার ষড়যন্ত্রের শিকার। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে যখন উনাকে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয় তখন তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি বরং জাতীয় নির্বাচনে উনার কর্মকান্ড ছিল সন্দিহান। এমনিক জাতীয় নির্বাচনে উনার কোন ভূমিকাই ছিল না। যার কারণে কালুখালী উপজেলার আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীরা উনার উপরে ক্ষুব্ধ। উনি বিগত দিনে বলে বেড়িয়েছেন তিনি আর নির্বাচন করবেন না। এজন্য তিনি বিগত দুই বছর ধরে আওয়ামী লীগের কোন কর্মকান্ডে ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু উনার কোন জনসমর্থন নেই। তিনি জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর সাথে উনার সর্ম্পক নেই।
মিজানুর রহমান মজনু আরো বলেন, উনি নমিনেশন আনার পরে আমাদের কাউকে ডাকেন নাই। আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করে নাই। এমনকি নমিনেশন পাওয়ার পরে আমাদেরকে একের পর এক হুমকির মুখে রেখেছে। তিনি বলেন আমাকে মেরে ফেলবেন। নবাব ভাইকে ক্ষতি করবেন। নমিনেশন পাওয়ার পরে যেহেতু উনি নৌকা পেয়েছেন আমাদেরকে একবার ডেকে উনার সাথে আমাদের যে গ্যাপ ছিল সেই গ্যাপটা নিয়ে উনি আলোচনা কোন চেষ্টাই করেন নাই। বরং আমাদের হুমকির উপর রেখেছেন।
তিনি এখন বহিরাগত সন্ত্রাসী ও তার ভাইকে দিয়ে আমাদের নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমরা শংকিত হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসন ও আমাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!