॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ঈদ উপলক্ষে ৬৪জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন জামা দিয়েছে প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধুসভা।
গতকাল ১লা জুন সকালে রাজবাড়ী শহরের রেলওয়ে আজাদী ময়দানের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই নতুন জামা তুলে দেয়া হয়।
এ সময় রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এডঃ খান মোঃ জহুরুল হক, প্রথম আলো’র রাজবাড়ী প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ, প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি ও ডাঃ আবুল হোসেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার মুনমুন, সহ-সভাপতি ও ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাঈদা খানম, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইফফাত আরা অনন্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদ, পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা বেগম, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আশিফ মাহমুদ, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফয়সাল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিল্টন হাসান, বন্ধু সায়মন কায়েস, বিনোদ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বন্ধুসভাকে এক হাজার টাকা প্রদান করেন এবং রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে আরো এক হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া বন্ধুসভাকে ৯টি নতুন জামা উপহার দেওয়ায় সুমি গার্মেন্টের মালিক শামীম আহমেদকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো দেওয়া হয়।
ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, প্রথম আলো শুধু একটি পত্রিকা নয়। সবসময় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া সংগঠনের সঙ্গে একঝাঁক সুন্দর মনের শিক্ষার্থী জড়িত। আমার খুব ভালো লাগে। পত্রিকা আরো এগিয়ে যাক, সমাজ উন্নয়নে তাদের সামাজিক কর্মকান্ড আরো বৃদ্ধি পাক এই কামনা করি।
সংগঠনের সভাপতি শামীমা আক্তার মুনমুন বলেন, বন্ধুসভার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিক্ষার্থী। তারা টিফিনের টাকা জমিয়ে নতুন জামা কিনেছে। এছাড়াও কেউ কেউ টাকা দিয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে বিগত সময়ের মতো অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে।
প্রথম আলো’র প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ বলেন, আমাদের ছোট ছোট চেষ্টাই একদিন মহীরুহে পরিণত হবে। লাখো শহীদের স্বপ্ন পূরণ হবেই। দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার কৃষক তাদের ধানের ন্যায্য দাম পায়নি। তাদের মধ্যে হাহাকার বিরাজ করছে। সবাইকে নিয়েই আমাদের এগুতে হবে। গতবারের চেয়ে এবার জামার সংখ্যা বাড়াতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।
শ্রীপুর এলাকা থেকে নতুন জামা নিতে আসা শিশু ফারজানা আক্তার জানায়, মা বাসাবাড়ীতে কাজ করে। এবার সে নতুন জামা কিনে দিতে পারে নাই। ভেবেছিলাম গতবারের জামা দিয়েই ঈদ করতে হবে। এখন নতুন জামা পেলাম। কি যে ভালো লাগছে তা বোঝাতে পারবো না।