সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

সরকার কোন বেকায়দায় নেই যে খালেদাজিয়াকে যে কোন ভাবে মুক্তি দিতে হবে—তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার এমন কোনো বেকায়দায় নেই যে আদালতে দন্ডিত বেগম খালেদা জিয়াকে যেকোন উপায়ে মুক্তি দিতে হবে।’
গতকাল ১৯শে এপ্রিল দুপুরে রাজধানী ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী ১৪২৬’ উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপি নেতাদের সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে বিএনপির দেয়া শর্তের প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আদালতে দন্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন, আদালতে জামিন পাওয়াই তার মুক্তির পথ। আর প্যারোলের বিষয়টি হচ্ছে, দন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি নিজে চাইলেই কেবল তা বিবেচনার সুযোগ থাকে। কাউকে তো জোর করে প্যারোল দেয়া যায় না। বিএনপি নেতারা কেন অবান্তর কথা বলেন, তা বোধগম্য নয়।’
সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির নেতাদের সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, তারা সংসদে তাদের কথা বলার জন্যই করেছে, সংসদে না যাওয়ার জন্য নয়। সুতরাং শপথ নেয়া তাদির দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমি মনে করি তারা সে দায়িত্ব পালন করবেন, কারণ তাতে বিএনপিরই মঙ্গল। এখন তারা রাজপথে যে কথা বলছেন, সেটা তারা সংসদে গিয়ে বলার সুযোগ পাবেন। আমি তাদের আহ্বান জানাবো সংসদে যোগ দেবার জন্য।’
‘কোন শর্তের কারণে বিএনপি সংসদে যোগ দেবে এমন কোনো বিষয়ই নেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নির্বাচিত হয়েছেন সংসদে যোগ দেয়ার জন্য, সেটি না করে, শপথ না নিয়ে, ভোটদাতাদের অবজ্ঞা করা অনুচিত বলেই আমি মনে করি।’
রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের র‌্যাংকিং প্রত্যাখ্যান তথ্যমন্ত্রীর ঃ এ সময় রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের বার্ষিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের ১৪৬ থেকে ১৫০-এ নেমে চার ধাপ অবনমনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এই র‌্যাংকিং প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সরকার সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরো করবে।
গত এক দশকে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দশ বছরে পত্রিকার সংখ্যা ৬০০ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ১২০০ হয়েছে, টেলিভিশনের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে এবং সংবাদগুলোকে কোনো সেন্সরের ভেতর দিয়ে যেতে হয় না। দেখা যাবে, অন্য সংস্থার র‌্যাংকিংয়ে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো।’
প্যারিসভিত্তিক এ সংস্থার র‌্যাংকিংয়ে প্রথম দিকে থাকা বেলজিয়ামের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি বেলজিয়ামে বহু বছর ছিলাম, সেখানে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছি। সেখানে ভুল সংবাদ বা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করলে জরিমানাসহ নানা শাস্তির বিধান রয়েছে। আর ইংল্যান্ডের দেড়শ’ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল সংবাদের জন্য জরিমানা পুরো না দিতে পেরে বন্ধই হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এমন কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি এবং আমি এই র‌্যাংকিংয়ের সাথে একমত নই।’
ফটো সাংবাদিকরা আমাকে আবেগাপ্লুত করেছেন ঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘দলীয় কাজে তথ্যচিত্র নির্মাণ করার সময় জনগণের ওপর বিএনপির পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও নানা অত্যাচারের সাক্ষী আলোকচিত্রগুলো আমাকে বহুবার কাঁদিয়েছে, আবেগাপ্লুত করেছে। ফটো সাংবাদিকরাই এর মূল, তারাই কালের সাক্ষ্য ধারণ করে রাখেন।’
প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘রূপসী বাংলা’র প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো এমন স্নিগ্ধ প্রকৃতি খুব কম দেশেই আছে। আলোকচিত্র মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, সংবাদকে পূর্ণতা দিতে পারে-এমনকি একটি আলোকচিত্র নিজেই হয়ে উঠতে পারে সংবাদ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রদর্শনীর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আলোকচিত্র সাংবাদিকতার বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত তিন প্রখ্যাত ফটো সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন লাল, এস.এম মোজাম্মিল হোসেন ও আলহাজ্ব মোহাম্মদ জহিরুল হকের মরণোত্তর সম্মাননা তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন তথ্য মন্ত্রী।
শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, শিল্পকলা একাডেমীর সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।
উল্লেখ্য, এবারের রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতায় আব্দুল্লাহ অপু, জাকির হোসেন চৌধুরী ও সোহেল আহমেদ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!