॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়ন ও পাংশা পৌরসভার সীমান্তবর্তী স্বর্ণগড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নিখিল রঞ্জন বাগচীর বাড়ীর পাশ দিয়ে যাওয়া পাকা রাস্তা বরাবর কাঁজিয়াল নদীতে বাঁশের তৈরি মাচালের স্থলে ২শত ফুট ব্রিজ নির্মাণের দারী জানিয়েছে এলাকার জনসাধারণ।
মৌরাট ইউনিয়নের হরিপুর, দরিপাট্টা, কাঁজিয়ালপাড়া হয়ে স্বর্ণগড়া মসজিদ পর্যন্ত এলজিইডির জিসি রাস্তা (যার আইডি নং-৩৮২৭৩৫১৬৪) এর সামনের কাঁজিয়াল নদী। নদীর ধারে কাঁজিয়ালপাড়া অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া পাশেই রয়েছে স্বর্ণগড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মসজিদ ও ১টি মন্দির। কাঁজিয়ালপাড়া, দরিপাট্টা, খান্দুয়া ও স্বর্ণগড়া গ্রামের লোকজনের পাড়াপারের একমাত্র সম্বল কাঁজিয়াল নদীর উপর তৈরি বাঁশের মাচাল। প্রথমে নদীর উপর সাঁকো ছিল। কিন্তু স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের চলাচল এবং পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এলাকাবাসী সম্মিলিত ভাবে বাঁশের মাচাল তৈরি করেছেন। কিন্তু বাঁশের মাচাল তৈরি হলেও কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণের জন্য মাচালের উপর দিয়ে কোনো ভ্যান বা অটোবাইক চলাচল করতে পারছে না। নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে বাগদুলী বাজার ও পাংশা বাজারে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করছে কৃষকরা।
জানা যায়, দুইশত ফুট চওড়া কাঁজিয়াল নদীর উল্লেখিত স্থানে ব্রিজ নির্মিত হলে এলাকার স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বসাধারণের চলাচলের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য বাজারজাত করে লাভবান হবেন এলাকার কৃষকরা এবং প্রায় ৪০ বছরের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রাজবাড়ী-২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুুল হাকিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকায় বিদ্যুৎ-রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনস্বার্থে কাঁজিয়াল নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের মাচালের স্থলে ব্রিজ নির্মাণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।