॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ সৌদি আরব এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকান্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী তুমুল সমালোচনা এবং মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই প্রথমবারের মতো নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগের উদ্যোগ নিল রিয়াদ।
সৌদি রাজকুমারী রিমা বিনতে বন্দর প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। খালিদ বিন সালমান ক্ষমতাশালী যুবরাজের ছোট ভাই। তাকে ভাইস প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত শনিবার রাতে এক রাজকীয় ফরমানের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
গত অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকান্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় কমানোর চেষ্টায় থাকা সৌদি আরব এই রদবল ঘটালো।
যুক্তরাষ্ট্রের রাইস ইউনিভার্সিটির বাকের ইনস্টিউটের ফেলো ক্রিশ্চিয়ান ইউরিশেন বলেন, খাসোগির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা কমাতে এবং ওয়াশিংটন বিশেষ করে কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন এ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করা সৌদি রাষ্ট্রদূতের কন্যা রাজকুমারী রিমা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বরাবরই সোচ্চার। তিনি এর আগে সৌদি আরবের জেনারেল স্পোর্টস অথরিটিতে কাজ করেন এবং খেলাধুলায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর পক্ষে প্রচারণা চালান।
সৌদিপন্থী থিংক ট্যাংক এরাবিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আলী শিহাবি টুইটারে বলেন, সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন প্রিন্সেস রিমা। এছাড়া তিনি হবেন মন্ত্রী পদ মর্যাদার প্রথম কোন নারী যা সরকার ও তার কর্মযজ্ঞে নারীকে সম্পৃক্ত করার একটি শক্তিশালী বার্তা।