॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পাওনা টাকা চাওয়ায় গরুর বেপারী ইদ্রিস মোল্লা (৪৫)কে মারপিট করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় পুনরায় তাকে মারপিট করাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
গত ১৪ই জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ইদ্রিস মোল্লাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ইদ্রিস মোল্লার মেয়ে ইয়ারুন নেছা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ১০জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ইদ্রিস মোল্লা একই গ্রামের ফজেল শেখের ছেলে নজির শেখের কাছে পাওনা টাকা পেতেন। সেই টাকা চাওয়ায় একই গ্রামের মৃত নজর আলী খার ছেলে আমজাদ খান, মনজু খান, মজনু খান, মনজু খানের স্ত্রী সামছুন্নাহার, আমজাদ খানের স্ত্রী শিউলি বেগম, মেয়ে বৃষ্টি, ছেলে নাসির খান, মজনু খানের ছেলে নাইম খান, নজির শেখ ও তার বাবা ফজেল শেখসহ অজ্ঞাত ২/৩জন গত ১২ই জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইদ্রিস মোল্লাকে মারপিট করে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় গত ১৪ই জানুয়ারী ইদ্রিস মোল্লা উল্লেখিতদেরকে আসামী করে রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত রাজবাড়ী থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের আদেশ দিলে এস.আই নুরুজ্জামান তদন্তে একই দিন বিকেলে সরেজমিনে যান এবং উল্লেখিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাত ৯টার দিকে বাড়ীর পাশর্^বর্তী রাস্তা সংলগ্ন খালেকের চায়ের দোকানে চা পানরত অবস্থায় ইদ্রিস মোল্লার ওপর আক্রমন করে। এ সময় তারা ইদ্রিস মোল্লাকে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে মারপিট করাসহ ছ্যান দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ইদ্রিস মোল্লার চিৎকারে তার ভাই ছিদ্দিক মোল্লাকে এগিয়ে তারা তাকেও মারপিট করে।
এ ঘটনার পর আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে সদর হাসপাতালে আনা হলে ছিদ্দিক মোল্লাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও ইদ্রিস মোল্লাকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় উল্লেখিতদের আসামী করে ইদ্রিস মোল্লা মেয়ে ইয়ারুন নেছা বাদী হয়ে এজাহারটি দায়ের করেন।