॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা বিধৌত এলাকা জুড়ে এখন শুধুই চোখে পরে কৃষি জমিতে নানান ধরনের শাক-সব্জির চাষাবাদ।
এলাকার কৃষকদের কাছে শীত মৌসুমে শীতকালীন শাক-সব্জি চাষই এখন প্রধান উপজীব্য হয়ে দারিয়েছে। তাছাড়া পদ্মা পাড়ে অন্যান্য ফসল তেমন না হওয়ায় এখন তারা নিয়মিত শীতকালীন সব্জি চাষে আগ্রহী। বিভিন্ন সব্জির মধ্যে এবার টমেটোর ফলন যেমন হয়েছে কৃষক দামও পাচ্ছেন আশাব্যঞ্জক।
বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেলো চাষিরা এখন টমেটো তুলতে ব্যস্ত,তাদেরই একজন হাবিবুর রহমান জানান এবার ক্ষেতে যারাই টমেটো চাষ করেছে তারাই লাভবান হয়েছে, তাদেরই একজন তোফাজ্জেল মন্ডল জানান, সময় মতো সার ঔষধ ও সঠিক পরিচর্যার কারনে এবার টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে, এবং বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন, এতে তারা খুসি।
শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো অন্যতম। টমেটো রান্না ও সালাতসহ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়।
নদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় টমেটোর চাষ বেশি হয়। প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মণ ফলন পাচ্ছেন চাষীরা। যা বাজারে পাইকারি দরে ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করছেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় টমেটো চাষিদের প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা আয় হচ্ছে।
জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিচু জায়গাগুলোর বেশির ভাগ অংশ জুড়েই এখন সবুজ শাক-সবজি ও শীতকালীন ফসলের আবাদ। চাষের মধ্যে রয়েছে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, শষা, মূলা, পালং শাক ইত্যাদি। জেলায় এবার প্রতিটি ফসলের ফলনই ভালো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর রাজবাড়ীতে ৮২৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। আর এ বছর আবাদ হয়েছে ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরে ৩৭৫, গোয়ালন্দে ৩০০, পাংশায় ৮৫, কালুখালীতে ৩৮ ও বালিয়াকান্দিতে ৩৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
টমেটো চাষীরা জানান, প্রতি বছরই তারা টমেটো চাষ করেন বাড়তি লাভের আশায়। এ বছরও করেছেন। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর নদীপাড়ের নিচু জমিতে টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেছেন। এ বছর টমেটো চাষ করে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন।
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন সেখ জানান, দিন দিন টমেটোর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর ৮৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। বেশির ভাগ চাষিই হাইব্রিড জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে এবং তাদের পক্ষ থেকে সময় মতো সার কীটনাশক ও তদারকিও করা হচ্ছে।