॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের আয়োজনে গতকাল ৬ই অক্টোবর সকালে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা’র সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম পিপিএম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল, বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম, পাংশা ওসি আলী আহসান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ এজাজ শফী, কালুখালী থানার ওসি মোঃ ফরহাদ হোসেন, ট্রাফিক পরিদর্শক মোঃ আবুল হোসেন গাজী, গোয়েন্দা শাখার(ডিবি)’র ওসি মোঃ কামাল হোসেন ভুঁইয়া, পরিদর্শক মোঃ জিয়ারুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার কর্মকার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গণেশ মিত্র, পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার কুন্ডু, বালিয়াকান্দি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিনয় কুমার চক্রবর্তী, কালুখালী উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি তনয় কুমার চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণসহ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও এটি বাংলাদেশের মানুষের সার্বজনীন ও সম্প্রীতির একটি উৎসব। এবারের পূজায় জেলা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করবে। পূজা মন্ডপগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ রাখতে হবে, যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। অস্থায়ী টয়লেট, পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হেেব। পূজা কমিটিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মোবাইল ফোন সবসময় চালু রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিষয়টি মাথায় রেখে উচ্চস্বরে গান-বাজনার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। পূজার মেলায় কোন প্রকার জুয়া, পুতুলনাচ এগুলো চলতে দেওয়া হবে না। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুচক্রী মহল ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের জন্য নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ব্যাপারে সকল থানার অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপিসহ আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বড় পূজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং পূজার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজে তদারকি করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের হিসাবে এ বছর জেলায় ৪২১টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হলেও পুলিশের হিসাবে এই পূজার সংখ্যা ৪১৩টি।