॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ীর চরাঞ্চলে এ বছর চিনাবাদাম চাষে ধস নেমেছে। এতে বাদাম চাষীরা ক্ষতির মুখে বিপাকে পড়েছেন। ফলন খারাপ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদিত বাদামের দামও পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোদার বাজার, চর মৌকুড়ী, গাছিয়াদহ, সিলিমপুর, কাঠুরিয়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ধান বা অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় কৃষকরা বেশীরভাগ জমিতে বাদামের চাষ করে থাকেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগও তাদেরকে বাদাম চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকেরও কম উৎপাদন হওয়ায় বাদাম চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
গোদার বাজার এলাকার কৃষক সালাম মন্ডল বলেন, প্রত্যেক বছর বিঘাপ্রতি গড়ে ৭/৮ মণ করে বাদাম উৎপাদিত হলেও এ বছর ৩/৪ মণের বেশী ফলন পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বাজারে তেমন দামও পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
শহিদুল খান নামের আরেক কৃষক বলেন, লাভের আশায় বাদামের চাষ করলেও এখন আমাদের মাথায় হাত। স্বাভাবিক ফলন হলে আমরা লাভবান হতে পারতাম। তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একটু ভালো করে লিখেন যাতে আমরা সরকার বা কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা পাই।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, এ বছর উপজেলার চরাঞ্চলের অনেক জমিতে চিনাবাদামের আবাদ করা হলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষীদের পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সহায়তা করা হয়ে থাকে।