॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এই রুটে প্রতি ঈদের সময় যাত্রীদের ঢল নামে। এ সময় যাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল থেকে বাড়ীতে যাওয়া এবং ঈদের শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় দৌলতদিয়া ঘাটে টানা পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার, ছিনতাইকারী, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা রকম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। এ জন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষায় পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরাও ঘাটে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতরের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবেন আনসার বাহিনীর সদস্যরাও। ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে ৭দিন পর্যন্ত আনসার বাহিনীর ৪৫জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি শিফটে ১জন পিসি, ২জন এপিসি ও ১২জন সদস্যসহ মোট ১৫জন করে আনসার সদস্য ৮ঘন্টা করে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ উপলক্ষে গতকাল ৭ই জুন গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের বাছাই করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাসার উদ্দিন বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আনসার সদস্যদের দেশের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ঈদের সময় ঠিকমতো দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
এ সময় উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মোঃ ওয়াজেদ আলী মন্ডল, মহিলা প্রশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন, ইউনিয়ন কমান্ডার ইউছুফ হোসেন, হোসেন আলী, শামসুল হক, কাজী রইচ উদ্দিন ও সরোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।