মাদক যে কোন উন্নয়নকামী দেশের জন্যে একটি বড় হুমকি। মাদকের ভয়াবহতা যে কতটা তা পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ পর্যন্ত অজানা নয়। দেশের তরুণ সমাজকে হুমকির মুখে ফেলার জন্যে যে কোন ক্ষেত্রেই মাদক দায়ী।
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের পর সরকার বর্তমানে মাদক নির্মূলে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে দেশব্যাপী চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়েই চোখে পড়ছে যার প্রশংসা। এর সুফলও ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে দেশের জনগণ। তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশে ‘বিএনপি’ নামক রয়েছে একটি দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে মাদক আর অস্ত্রের অভয়ারণ্য পরিণত করেছিল। বর্তমানেও তারা সরকারের চলমান এই মাদক বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
গত ২০শে মে গণভবনে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শুভেচ্ছা জানানোর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাদক বিরোধী অভিযানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা জঙ্গীবাদকে দমন করেছি। অঙ্গীকার করছি, এই মাদক থেকেও দেশকে উদ্ধার করবো।’ প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। মাদকের জন্য একেকটা পরিবার যে কষ্ট পায়, যেভাবে একেকটা পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়-কাজেই এবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছি। যেখানেই মাদক, সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ ছেলে-মেয়েরা যেন বিপথে না যায় সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, সুন্দর জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে।’
একই দিনে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক নির্মূলের নামে কিলিং প্র্যাকটিস করছে’। এ সময় রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, চলতি মাসে যেন পোকা-মাকড়ের মতো মানুষ হত্যার হিড়িক চলছে।
মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের বাঁচাতে বিএনপির এই তড়িৎ সংবাদ সম্মেলন আর রুহুল কবির রিজভির এমন মায়াকান্নার সুত্র ধরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেশের মাদক ব্যবসা পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে সরাসরি ভূমিকা রাখছে বিএনপি। যেহেতু বর্তমানে বিএনপির অন্যান্য সকল ব্যবসা স্থবির, তাই দলের ডাকসাইটের নেতাকর্মীদের দিয়ে বর্তমানে মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি। এতে বিএনপির দু’টো লাভ, প্রথমত মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের ফলে দলের দুঃসময়ে কালো টাকা আয় এবং দ্বিতীয়ত অবাধ মাদকের মাধ্যমে সরকারকে সমালোচিত করা। আর তাই চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে বিএনপির তাসের ঘর ভেঙে যাওয়ায় রিজভীর এমন সংবাদ সম্মেলন। সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই কেবল পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব এই ব্যাধি। তাই আমাদের সকলকে মাদক নির্মূলে এগিয়ে আসা উচিত। তথ্য সুত্র ঃ ২১শে মে, অনলাইন পোর্টাল-অদ্বিতীয় বাংলা।