॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ২৩শে এপ্রিল সকালে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্সের নেতৃত্বে র্যালীটি সিভিল সার্জন অফিসের প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে বড়পুল মোড় প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতাল সড়ক দিয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, জেলা নার্সিং ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীগণ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালী শেষে সিভিল সার্জন অফিসের প্রাঙ্গনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বকস্ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাকিব খান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমীন করিমী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম.এ হান্নান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী শফিউল আজম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল হকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থীগণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রত্যেকটি মানুষেরই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এই ৫টি মৌলিক চাহিদা রয়েছে। আর এই ৫টি মৌলিক চাহিদা পূরণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এই জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে জনগণের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের মাধ্যমে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার টার্গেটকে সামনে রেখে কাজ করছে। বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আর এই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন পুষ্টিজাতীয় খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টির অভাবও পূরণ করছে। যার ফলে দেশের শিশুসহ সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো বেশী মেধাবী করতে ও তাদেরকে সুস্থ্য রাখতে বর্তমান সরকারের পুষ্টি সংক্রান্ত সকল কর্মকান্ড সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীগণসহ সকলকে অপুষ্টিকর খাবার বা জাঙ্ক ফুড যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো পরিহার করার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩-২৯শে এপ্রিল সারা দেশে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হবে। পুষ্টি সপ্তাহ চলাকালীন সময়ে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ জনগণসহ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুইজ, রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইমাম ও পুরোহিতদের দ্বারা পুষ্টি সম্পর্কে প্রচারাভিযান চালানো হবে।