॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে চরমপন্থী সর্বহারা সংগঠন মাওবাদী বলশেভিক অর্গানাইজেশন মুভমেন্ট (এমবিআরএম)-এর আঞ্চলিক কমান্ডার ছাইদুল ওরফে আমির সরদার(৩২) নিহত হয়েছে।
গত ১৬ই এপ্রিল দিনগত রাত আড়াইটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার জৌকুড়া বালুঘাট সংলগ্ন মজিদ সরদারের বালুর চাতালের উত্তর পার্শ্বে পদ্মা নদীর পাড়ে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী এসএলআর, ৩২ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশী দোনালা বন্দুক, ২৩টি কার্তুজ, ১টি ছোরা ও ৬টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছে। নিহত ছাইদুল ওরফে আমির সরদার পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার চাচকিয়া গ্রামের তাহামুদ্দিন ওরফে তানু সরদারের ছেলে।
বন্দুক যুদ্ধের সময় সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খাঁন, ইন্সপেক্টর জিয়ারুল ইসলাম ও কনস্টেবল পংকজ মন্ডল আহত হয়েছেন বলে দাবী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
এ বিষয়ে গতকাল ১৭ই এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস ব্রিফিংর মাধ্যমে এসব তথ্য জানান রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম-সেবা।
প্রেস বিফ্রিং-এ পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, গত ১৬ই এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে জৌকুড়া বালুঘাট সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে গোপন মিটিং করছিল চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাকিব খাঁনের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সর্বহারা দলের সদস্যরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টাগুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে চরমপন্থী সর্বহারারা পিছু হটে চরের বিভিন্ন দিক দিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছাইদুল ওরফে আমির সরদারকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী এসএলআর, একটি বিদেশী দোনালা বন্দুক, ৩২রাউন্ড গুলি, ২৩টি কার্তুজ, একটি ছোরা ও ৬টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে আহত অবস্থায় ছাইদুলকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহত চরমপন্থী ছাইদুল ওরফে আমির সরদার নদীতে বিভিন্ন ট্রলারে চাঁদাবাজি করাসহ অপহরণ এবং অর্থের বিনিময়ে খুনের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। এছাড়াও সে পাবনা জেলায় ২টি হত্যা, ২টি অস্ত্র ও ১টি অপহরণ মামলাসহ ৭টি গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী ছিল।
প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিক কামাল, ওসি(তদন্ত) মোঃ জিল্লুর রহমান, ডিবির ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।