সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ৫ঘন্টা ফেরী বন্ধ॥মানুষের দুর্ভোগ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

॥আবুল হোসেন॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফের সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ফেরী, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে যানবাহন বোঝাই চারটি ফেরী। নৌযান বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। দুর্ভোগের শিকার হন কয়েক হাজার যাত্রী।
সাতক্ষীরার থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বুধবার রাতে রওয়ানা করে দেড়টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়েন এস.পি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী এনামুল হক ও তার পরিবার। সারারাত শেষে পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা বাজলেও তাদের বাসটি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে লঞ্চ ঘাট মোড় এলাকায় আটকে রয়েছে। দীর্ঘ সময় বাসে আটকে থেকে স্ত্রী, কন্যা সবাই ক্লান্ত দেহে সিটের সাথে মিশে ঘুমিয়ে পড়েছে। তাদের মতো বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রীরাও ক্লান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছে। দুই/একজন জাগনা থাকলেও মুঠোফোন নিয়ে সময় কাটাতে দেখা যায়।
বাস চালক মোঃ জামাল জানান, বাসে থাকা ৪০ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রীই বাস থেকে নেমে বিকল্প উপায়ে রাতেই কেউ সকালে নদী পাড়ি দিয়েছেন। বাকিরা এখনো বাসের মধ্যেই বসে আছেন। তবে প্রকৃতির কাজ সারতে অনেককেই বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের। তিনি অভিযোগও করেন, গভীররাতে যাত্রী বাহি বাসের সাথে আটকে থাকা ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যবাহি গাড়ি স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় কর্তব্যরত পুলিশ আগে পার করার সুযোগ করে দেয়। যে কারণে অধিকাংশ সময় যাত্রীবাহি বাস দীর্ঘক্ষণ ঘাটের লম্বা সিরিয়ালে আটকে থাকছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় ভেজা কুয়াশা পড়ায় নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। রাত বাড়ার সাথে কুয়াশা বাড়তে থাকলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে সামনের সামান্য দূরের কিছুই দেখতে না পেয়ে মাষ্টারগণ ফেরী চালানো বন্ধ করে দেয়। এরআগে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো-রো ফেরী খানজাহান আলী, এনায়েতপুরী, ইউটিলিটি শাপলা শালুক এবং বনলতা নামক চারটি ফেরী মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। ফেরীতে ৩০টির মতো যাত্রীবাহি বাস, পণ্যবাহি গাড়িসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। নদীতে আটকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে উভয় ঘাট থেকে ফেরী ছাড়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যানবাহন পারাপার বন্ধ হওয়ায় দুই ঘাটে আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। বেলা সোয়া দশটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরী ঘাট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক জুড়ে কোথাও তিন সারি আবার কোথাও চার সারিতে গাড়ি আটকে রয়েছে। গাড়ির চাপে আসা-যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাট থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরেই অনেক যাত্রীবাহি বাস বাধ্য হয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। এসব যাত্রী দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে ঘাটে পৌছছে। ক্যানাল ঘাটের পর থেকে আরো এক কিলোমিটার লম্বা লাইনে অন্যান্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ফেরীর সংখ্যা যথেষ্ট থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় রাতে বিশেষ করে ভোররাত থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত কয়েক ঘন্টা করে নৌযান বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে শত শত গাড়ি আটকা পড়ছে। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থেকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!