॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলাতেও গতকাল ১৯শে নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড.একেএম আজাদুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
১ম দিনের ইংরেজী বিষয়ের পরীক্ষায় জেলার ৫টি উপজেলার ৫৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিকের ২০ হাজার ৩শত ৩৮ জন পর্রীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ হাজার ৯শত ২৪ জন(ইংরেজী ভার্সনের ১১ জনসহ) এবং ইবতেদায়ীতে ১হাজার ৫শত ১৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১হাজার ২শত ৩১জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। প্রাথমিকে ৪১৪জন এবং ইবতেদায়ীতে ২৮৭জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। উপস্থিতির হার প্রাথমিকে ৯৭.৯৬% এবং ইবতেদায়ীতে ৮১.০৯%।
প্রাথমিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২০টি কেন্দ্রে ৬হাজার ৩শত ৫৫জনের মধ্যে ৬ হাজার ২শত ২৩ জন, পাংশা উপজেলার ১৩টি কেন্দ্রে ৪হাজার ৬শত ৩৯জনের মধ্যে ৪হাজার ৫শত ৭৫জন, বালিয়াকান্দি উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮শত ১৬জনের মধ্যে ৩হাজার ৭শত ৪৮জন, গোয়ালন্দ উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে ২হাজার ৫শত ২৪জনের মধ্যে ২হাজার ৪শত ৪১জন এবং কালুখালী উপজেলার ৯ কেন্দ্রে ৩হাজার ৪জনের মধ্যে ২হাজার ৯শত ৩৭জন পরীক্ষার্থী ১ম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১৩২জন, পাংশা উপজেলায় ৬৪জন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৬৮জন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৮৩জন এবং কালুখালী উপজেলায় ৬৭জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। প্রাথমিকে জেলার ৫টি উপজেলাতেই ছেলেদের চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশী।
অপরদিকে ইবতেদায়ীতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১২ কেন্দ্রে ৪শত ৭১জনের মধ্যে ৩শত ৭৯জন, পাংশা উপজেলার ১২টি কেন্দ্রে ৪শত ৮২ জনের মধ্যে ৩শত ৯৮জন, বালিয়াকান্দি উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ২শত ২৮জনের মধ্যে ১শত ৮৮জন, গোয়ালন্দ উপজেলার ৩ কেন্দ্রে ১শত ৩০জনের মধ্যে ৯৫জন এবং কালুখালী উপজেলায় ২শত ৭জনের মধ্যে ১শত ৭১জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৯২জন, পাংশা উপজেলায় ৮৪জন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৪০জন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৩৫জন এবং কালুখালী উপজেলায় ৩৬জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রেই সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আগামী ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, এবার দেশব্যাপী প্রায় ৩১লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। দেশের বাইরে বিদেশের ১২টি কেন্দ্রের মাধ্যমেও পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে দেশের ৬৪টি জেলাকে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করে পৃথক ৮সেট প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।