রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

কালুখালীর নশরতশাহী-রামচন্দ্রপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

  • আপডেট সময় বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ৩১শে অক্টোবর বেলা ১১টায় কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নশরতশাহী-রামচন্দ্রপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাজমুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রবেশের সময় প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে কোমলমতি শিশুরা জেলা প্রশাসকের নিকট তাদের জন্য একটি প্রাইমারী স্কুলের দাবী জানায়। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোন করে সেখানে একটি প্রাইমারী স্কুল স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান। বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন। এছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত ৭০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে জি.আর চাল প্রদানের জন্য তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন।
এরপর জেলা প্রশাসক আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিউনিটি সেন্টারে এক জনাকীর্ণ সমাবেশে উপস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসীদের কথা ধৈর্য্য সহকারে শোনেন এবং তাদের উত্থাপিত সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে তাদের ব্যারাকের চালের টিন পরিবর্তন, ল্যাট্রিনসমূহ সংস্কার, প্রকল্পে প্রবেশের রাস্তা সংস্কার ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক দাবীগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন এবং সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২টি পুকুরে সমবায়ের ভিত্তিতে মাছের চাষ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন পূর্বক সেখানকার আয় থেকে নিজেদের জন্য ব্যয় করার পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার, রোপিত বৃক্ষসমূহের সঠিক পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ এবং স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। পাশাপাশি এ প্রকল্পের অধিবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, ছেলে-মেয়েদের যথাযথ শিক্ষা গ্রহণ ও স্কুলমুখী করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান। এরপর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি ঘর ঘুরে দেখেন এবং সেখানে বসবাসকারীদের সাথে আলাপ করেন। সবশেষে তিনি পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৬জন বয়স্ক ভাতা, ১জন বিধবা ভাতা, ১জন প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৬জন ভিজিডি সহায়তা পাচ্ছেন। নতুন করে ৭টি বিধবা ভাতা প্রাপ্তির আবেদনের মধ্যে ৫টি অনুমোদিত হয়েছে।
এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নশরতশাহী-রামচন্দ্রপুর মৌজায় ত্রাণ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত ২.৯১ একর জমিতে অবস্থিত। ৩০/১২/১৯৯৯ ইং তারিখে চালুকৃত এ প্রকল্পের ১০টি ব্যারাকে ১০০টি কক্ষ রয়েছে। এ প্রকল্পে বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৮০টি দলিলপ্রাপ্ত পরিবারের মধ্যে ৫৩টি পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে অন্যত্র জমি কিনে বসবাস করছে। বর্তমানে দলিলপ্রপ্ত ২৭টি পরিবার, নতুন বরাদ্দপ্রাপ্ত ৬টি এবং নতুন আসা ৩৭টিসহ মোট ৭০টি পরিবার বসবাস করছে। ৩০টি কক্ষ খালি রয়েছে। এখানে ১টি কমিউনিটি সেন্টার, ১টি মসজিদ, ৪০টি ল্যাট্রিন, ২০টি বাথরুম এবং ২টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন রয়েছে। এখানে ২০১২ সালে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি গত ১৩/৭/২০১৭ তারিখে হতে ১৭টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প চত্বরে প্রায় ৪০০টি বৃক্ষ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!