॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির শাহমীরপুর গ্রামে গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, নাদিরা বেগম, লিমা খাতুন ও রিপন জোয়ার্দ্দার। আহতদের পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শাহমীরপুর গ্রামের আবুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে বদর জোয়ার্দ্দার, নাদের জেয়ার্দ্দারসহ ২০/২৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সেকেন জোয়ার্দ্দারের বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ী-ঘর ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। হামলায় নাদিরা বেগম, লিমা খাতুন ও রিপন জোয়ার্দ্দার গুরুতর আহত হলে পাংশা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ৬ই সেপ্টেম্বর থেকে আবুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে তার সমর্থিত লোকজন তাদেরকে(সেকেন জোয়ার্দ্দারের পরিবার) বাড়ী থেকে বের হওয়া বাধা প্রদানসহ নানা ভাবে হুমকী প্রদর্শন করে আসছিল। গতকাল শনিবার সকালে হামলাকারী দলের লোকজন সেকেন জোয়ার্দ্দারের বাড়ীতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গোলযোগ-সংঘর্ষ না করার জন্য উভয় পক্ষের লোকজনকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে আবুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে বদর জোয়ার্দ্দার, নাদের জেয়ার্দ্দারসহ ২০/২৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সেকেন জোয়ার্দ্দারের বাড়ীতে হামলা, মারধর-ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে পুনরায় পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও বাহাদুরপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের সহযোগিতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।