॥আবুল হোসেন॥ ঈদের আগে কর্মদিবস শেষে ঘরমুখি মানুষ সবাই ছুটতে শুরু করায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে গতকাল ৩১শে আগস্ট মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছেড়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ছুটতে শুরু করায় লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে কয়েকগুন হারে মানুষ নদী পাড়ি দিয়ে আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে যেসব লঞ্চ ছেড়ে আসছে তার কোথাও দাঁড়ানোর জায়গাটুকো নেই। এসব লঞ্চ দৌলতদিয়া ঘাটে ভেড়ার পর না থামতেই লঞ্চ থেকে নামতে মানুষ হুমরি খেয়ে পড়ছে।
অপরদিকে চারটি ফেরী ঘাটের প্রতিটিতে অগনিত মানুষ ফেরীতে করে নদী পাড়ি দিয়ে আসছে। ঘাট থেকে নামার পর দীর্ঘ পথ পাঁয়ে হেটে টার্মিনাল এলাকায় থাকা গাড়িতে ওঠে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছুটছে।
গাজীপুরের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষক আঞ্জুমান আরা দুই সন্তান ও লাগেজ নিয়ে ফেরী ঘাট থেকে হেটে আসতে ক্লান্ত অনুভব করছে। এমন অনেককে বাড়তি ব্যাগ-লাগেজ ও বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করে হেঁেট গাড়ির সন্ধানে টার্মিনাল এলাকায় আসতে দেখা যায়। এছাড়া ফেরী ঘাট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা শুধু যাত্রীবাহি ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে এসব বাসে তেমন একটা যাত্রী দেখা যায়নি। ঢাকার গাবতলী ও অন্যান্য এলাকার যাত্রী আনতেই এসব বাস রাজধানী যেতেই ফেরীর জন্য অপেক্ষা করছে।
বেলা তিনটার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলরত ছোট-বড় ১৮টি ফেরীর সাথে রোরো ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন যুক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ডক ইয়ার্ড থেকে ফেরিটিকে ঈদে বাড়তি গাড়ি ও যাত্রী পারাপারের জন্য আনা হয়। এ নিয়ে ছোট-বড় মোট ১৯টি ফেরি এই নৌপথে রাখা হয়েছে। তবে গত বুধবার রাত থেকে রোরো ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান যান্ত্রিক ক্রটির কারণে মধুমতিতে রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ফেরীর সংখ্যা বাড়নোয় গাড়ি চাপ খুব বেশি একটা ঘাটে থাকছে না। তবে পাটুরিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীবাহি বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে।