॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা ভিত্তিক ফেসবুক পেইজ ‘আমরা রাজবাড়ীর সন্তান (অসৎধ জধলনধৎরৎ ঝড়হঃধহ)-এর উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভলেন্টিয়ার ফর রাজবাড়ী’-এর সহযোগীতায় কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের গতমপুর গ্রামে বন্যা কবলিত ১৫০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল ৩১শে আগস্ট দুপুরে ওই গ্রামের এ.জেড.এম ছাকেন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে এ.জেড.এম ছাকেন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান খান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভলেন্টিয়ার ফর রাজবাড়ী’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং রাজবাড়ী জেলার প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘রাজবাড়ী নিউজ২৪.কম’-এর সম্পাদক এম.এ খালেদ পাভেল, ‘আমরা রাজবাড়ীর সন্তান (অসৎধ জধলনধৎরৎ ঝড়হঃধহ)-ফেসবুক পেইজের প্রতিষ্ঠাতা চীফ অ্যাডমিন মোঃ শামীম হাসান, রাজবাড়ী নিউজ২৪.কম- এর বার্তা সম্পাদক ও বাংলানিউজের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি মোঃ আশিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ সরকারী ভিকু মেমোরিয়াল কলেজের প্রভাষক হাছান আলী, আমরা রাজবাড়ীর সন্তান পেইজের এডিটর তানিয়া আফরোজ সাথী, স্থানীয় সমাজসেবক মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘আমরা রাজবাড়ীর সন্তান (অসৎধ জধলনধৎরৎ ঝড়হঃধহ)- ফেসবুক পেইজের প্রতিষ্ঠাতা চীফ অ্যাডমিন মোঃ শামীম হাসান বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাজবাড়ীর সন্তানদের একত্রিত করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে আমি এ ফেসবুক পেইজি চালু করি। হাটি হাটি পাঁ পাঁ করে পেইজটিতে আজ প্রায় ১৬হাজার রাজবাড়ীর সন্তানদের একত্রিত করতে পেরেছি। ইতিমধ্যে এ পেইজের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে রাজবাড়ীর অসহায়-দরিদ্র মানুষের চালচিত্র তুলে ধরার ফলে তারা বিভিন্ন সহযোগীতা পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ই আগস্ট থেকে রাজবাড়ীর বন্যার্তদের সহযোগীতা করার জন্য পেইজটিতে ইভেন্ট খোলা হয়। সেটি দেখে মাত্র ১২দিনে রাজবাড়ীর সন্তানেরা প্রায় ৫০ হাজার টাকা সহযোগীতা করেছেন, যা কিনা প্রথমে আমি চিন্তাও করতে পারিনি। এ টাকা দিয়ে সেমাই, চিনি, কিসমিস ও দুধ কিনে বন্যার্তদের মধ্যে প্রথম ধাপে ত্রাণ বিতরণ করা হলো। আজ ১লা সেপ্টেম্বর আরও বন্যা কবলিত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পেইজের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে সার্বিক সহযোগীতা করেছে রাজবাড়ী জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভলেনটিয়ার ফর রাজবাড়ী’। এ সংগঠটির সঙ্গে জড়িত সকল সদস্যসহ বন্যার্তদের সহযোগীতায় যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।