॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এখন সেটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বালিয়াকান্দি শহরের ডাক বাংলো থেকে সাধু মোল্ল¬ার বাসভবন পর্যন্ত প্রধান সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের মাত্র ১শ গজ সামনে সড়কটির বেহাল দশা হলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। যে কোন সময় সেখানে ঘটতে পারে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের মাত্র ১শ গজ দূরে ডাক বাংলো থেকে সাধু মোল্ল¬ার বাসভবন পর্যন্ত আনুমানিক ৭/৮শ গজ রাস্তাটির মাঝে মাঝে বিশাল আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে রাস্তার মাঝের গর্তের ভিতরে হাটু পানি জমেছে। সেই গর্তের ভিতরে জমে থাকা পানির মধ্যে শিশুরা খেলা করছে। ছোট ছোট শিশুদের বহনকৃত স্কুলের গাড়ী মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এতে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিদিন চলাচল করছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। রাস্তাটির দু’পাশে রয়েছে বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনি মুকুর কিন্ডার গার্টেন ও হলি চাইল্ড প্রি-ক্যাডেট একাডেমী। এছাড়াও রয়েছে সরকারী ৪টি প্রতিষ্ঠান।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী থাকায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবী দ্রুত সময়ে রাস্তাটির সংস্কার করা হোক।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রভাষক খোন্দকার শফিকুদ্দৌলা এবং এম.এ বাসেত বাচ্চু জানান, বালিয়াকান্দি শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে এটি। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে গেছে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে রাস্তার মাঝে পানি জমে যাওয়ায় এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় ভীষণ কষ্ট হয়। তাছাড়া মাঝে-মধ্যেই ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটছে।
বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নায়েব আলী শেখ জানান, রাস্তাটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় তার জন্য ইতিমধ্যে আমি উপজেলা পরিষদ ও সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। একটু বৃষ্টি হলেই দুটি বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই রাস্তাটি মেরামত করলেও তা স্থায়ী হবেনা। তাই আগে ড্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে এর মধ্যে কাজ করলেও তা টিকবেনা। আবহাওয়া ভালো হলে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।