॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ইউনেস্কো’র মহাসচিব আদ্রে আজোউলে গতকাল ২৩শে মার্চ বলেছেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সার্বজনীন মূল্যবোধ স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং মর্যাদার সমার্থক।
বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার ৭ম দিনে আজ এক ভিডিও বার্তায় ইউনেস্কো মহাসচিব বলেন, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু’র ৭ই মার্চের ভাষণ সার্বজনীন মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও মর্যাদার সমার্থক।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক বলেন, ৫০ বছর আগে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু দেয়া ঐতিহাসিক এ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেশটির স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন করছে।
ইউনেস্কো যে কারণে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেই একই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছর পরেই ইউনেস্কোতে যোগ দেয় এবং বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের আজ সেই ঐতিহাসিক দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে, বিশেষত কন্যা শিশু এবং নারীদের অত্যন্ত সমৃদ্ধ সহযোগিতার ইতিহাসের উদযাপন করছি।’
তিনি বলেন, আরো সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ‘পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ শহর এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং বেশ কয়েকটি বাঙালি ঐতিহ্যের পাশাপাশি জামদানি শাড়ি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক বলেন, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিশেষ করে বহুসংস্কৃতিবাদের ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ সহযোগিতা একটি নমুনা।
তিনি বলেন, গত ৫ বছর ধরে ঢাকায় ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট রয়েছে এবং বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার’ চালু করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করবো।’
তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ব এখন একটি সংকটের মুখোমুখি। তাই, বাংলাদেশ এবং ইউনেস্কোর এই বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আসুন এই মুহূর্তে আমরা আশাবাদী হই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি এজন্য যে, মানবতার পক্ষে এই লড়াই, একই সঙ্গে অধিকার বা স্বাধীনতার পক্ষে।’