॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা গ্রামে গত ২৮শে জুন সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের গোলোযোগে উভয়পক্ষের ৮/৯টি বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি মেম্বারসহ ৪জন থানা পুলিশ আটকে করেছে।
জানাযায়, বহলাডাঙ্গা গ্রামের ইকতার আলীর সাথে প্রতিবেশী মিজান শেখ গংদের জায়গাজমি ও মারামারি গোলোযোগের ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক বিরোধ চলছে। পাশাপাশি মিজান শেখের সাথে সরিষা ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল বিশ্বাসের বিরোধ রয়েছে। মিজান শেখ গত ইউপি নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হন কামাল বিশ্বাস। বিগত ইউপি নির্বাচনের পর মিজান শেখ গংদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন বর্তমান ইউপি মেম্বার কামাল বিশ্বাস। ওই ঘটনায় কামাল বিশ্বাস মিজানগংদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে পৃথক ঘটনায় ইকতার আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন মিজান ও ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে এসব নিয়ে পরস্পর উভয় পরিবারের লোকজনের মাঝে বিরোধ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
এদিকে গত বুধবার দুপুরে থানা পুলিশ বহলাডাঙ্গা গ্রামে একটি ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে মিজানের ভাই ফরিদের সাথে পুলিশের কথা হয়। এ নিয়ে বিরোধপূর্ণ পরিবারের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইকতার আলী গং ও মিজান শেখ গংদের মধ্যে গোলোযোগের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮/৯টি বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ইকতার আলী, আব্দুল মান্নান, আহম্মদ হোসেন, আকমল মোল্লা, করম আলী, হবিবর শেখ, ফিরোজ শেখ, তোফাজ্জেল শেখ ও মৃত ইয়ার উদ্দিনের পরিবার। ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিসাধন করা হয়।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ইউপি মেম্বার কামাল বিশ্বাসসহ ৪জনকে আটক করে। আটককৃত অন্যান্যরা হলেন মকিম বিশ্বাসের ছেলে শাহিন, মৃত আলী আকবরের ছেলে নিমাই ও আব্দুল মান্নানের ছেলে রিয়াজ।
এ ঘটনায় মিজান শেখ বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১২, তাং-২৯/৬/১৭। মামলায় ইউপি মেম্বার কামাল বিশ্বাসসহ আটককৃত ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে ইউপি মেম্বার কামাল বিশ্বাস বাড়ি-ঘরে হামলা ভাংচুর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।