শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ -তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং প্রেস কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আজকে প্রেস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা বর্ষিকী এবং ২০১৭ সালে এ দিনটিকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা অবাধ তথ্যপ্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস রেখেই আজকে রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১২ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার সাথে আসে দায়িত্বশীলতা। একজনের স্বাধীনতাকে যেন অপরের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, অপরের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যেন হস্তক্ষেপ না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করতে যাচ্ছি, যাতে প্রেস কাউন্সিল বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তাদেরকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সুচারুভাবে পালন করতে পারে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এবং দায়িত্বশীলতা দু’টিই নিশ্চিত করতে পারে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা একটি বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে কাজ করছি। আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশে-বিদেশে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারেও আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী দিনগুলোতে প্রেস কাউন্সিল আরো কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তথ্যসচিব খাজা মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রেস কাউন্সিলকে দেশ, মানুষ ও গণমাধ্যমের স্বার্থে এগিয়ে নেয়া আমাদের কর্তব্য।’
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে’-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একথার দু’ধরণের ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা ভেতরে ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত ১২বছর ধরে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’
বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘কালকের ঘটনার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্য আমি কাগজে এবং টেলিভিশনে দেখেছি। ২ কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ’ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বিএনপি’র জন্য পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে এবং বুঝতে হবে, তারা জনগণ থেকে কতটুকু বিচ্ছিন্ন। আর শনিবার তারা খবরে শিরোনাম হতে চেয়ে গন্ডগোল ঘটানোর জন্যই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুলিশের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাস্তা অবরোধ করেছিল। জনগণের সুবিধার্থে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সমাবেশ তো চট্টগ্রামসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে, কোথাও তো এ ধরণের গন্ডগোল হয়নি।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও প্রেস কাউন্সিলের পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া ও প্রেস কাউন্সিল প্যানেল চেয়ারম্যান এডভোকেট রেজাউর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!