॥স্টাফ রিপোর্টার॥ চলতি ২০২০-২০২১ করবর্ষে ৭হাজার ৬৫০ জন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা তাদের অপ্রদর্শিত সম্পদের ঘোষণা আয়কর রিটার্নে জমা দিয়েছেন। এই ঘোষণা দিয়ে তারা ৯৬২ কোটি ৬ লাখ টাকার কর প্রদান করেছেন।
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে বেসরকারী খাতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল রাখা এবং বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চলতি অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের হিসাবমতে, শেয়ারে বিনিয়োগকৃত অর্থের ১০ শতাংশ হারে কর প্রদানের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ নিয়েছেন ২০৫ জন করদাতা। তারা শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও ঋণপত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে এই সুবিধা নিয়েছেন। শেয়ারবাজারে এই অর্থ অন্তত এক বছর বিনিয়োগ রাখার শর্তে সরকার এই সুবিধা প্রদান করে। অপ্রদর্শিত আয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার রাজস্ব পেয়েছে এনবিআর।
এদিকে জমি, ভবন ও ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ ও আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত আয় যেমন নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, বন্ড বা অন্য কোনো যেকোনো সম্পদের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে বৈধকরণ বিধানের সুযোগ নিয়েছেন ৭হাজার ৪৪৫ জন। তারা ৯৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশে যেন অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি না হয়, সেজন্য আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। এতে অর্থনীতির মূল ধারায় বড় অংকের অর্থ প্রবাহ যেমন এসেছে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।
তিনি জানান, অপ্রদর্শিত সম্পত্তি ঘোষণার মাধ্যমে এবার অর্থনীতির মূল ধারায় ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকা প্রবেশ করেছে। এতে অর্থনীতির গতি আরও সঞ্চারণের পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।