॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ করোনা ভাইরাসের কারণে অনলাইনে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গত বৃহস্পতিবার ‘ক্ষুধার মহামারি’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি কোভিড-১৯ মহামারির চেয়ে ভয়ংকর হতে পারে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলে বলেছেন, ‘অনেক যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, রাজনৈতিক ও সামরিক অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধার বিস্তার এবং বৈশ্বিক মহামারির কারণে বিশ্বের ২৭০ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রোমে ডব্লিউএফপি সদরদপ্তর থেকে তাঁর বক্তব্য সম্প্রচারকালে তিনি তাঁর মুখের মাস্ক সরিয়ে ফেলে বলেন, ‘তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পুরণে ব্যর্থ হলে ক্ষুধার মহামারি দেখা দিবে, যা কোভিড-১৯ এর চেয়ে মারাত্মক হবে।’
জাতিসংঘের অধীনে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তম এই মানবিক সংস্থা(ডব্লিউএফপি) দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, বহু মিলিয়ন লোকের খাদ্য সরবরাহ করছে। ২০১৯ সালে সংস্থাটি ৯৭ মিলিয়ন লোকের জন্য খাদ্য সরবরাহ করেছে।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিট রেইস এন্ডাসন গত ৯ই অক্টোবর পুরস্কার ঘোষণাকালে বলেন, ‘যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে ক্ষুধার ব্যবহার রোধের’ প্রচেষ্টার জন্য ডব্লিউএফপি ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নোবেল কমিটির কর্মকর্তা অসলো থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিক আয়োজন বাতিল করে অনলাইনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।