॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা ও বজায় রাখার ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা জোরদার করতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে নারীদের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এবং মানবিক কার্যক্রমে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নারীদের অধিক ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে নারী-সংবেদী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই প্রয়াস চালাতে হবে।’
জাতিসংঘের সহায়তায় ভিয়েতনাম সরকারের আয়োজনে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা (ডব্লিউপিএস) বিষয় নিয়ে গতকাল ৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উচ্চ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ড. মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টায় বিভিন্ন দেশের সরকারকে সহায়তা প্রদান করার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার কার্যক্রমে নারীদের পূর্ণ, সম, ও অর্থবহ অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মোমেন বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দুতে নারীদের স্থান দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নারীরা মুক্তিযুদ্ধে কেবল নির্যাতিতই হননি, বরং তারা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নারীরা আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের সক্রিয় কর্মী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নারীদের শিক্ষাদান ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে এবং বাড়ির বাইরে অপ্রচলিত ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
মোমেন আরো বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে প্রভাব রাখা এবং মৌলবাদী হয়ে ওঠার প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিতকরণে নারী ভূমিকার স্বীকৃতি দেয় এবং সমাজে, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে তাদের নেতৃত্বকে উৎসাহিত করছে।
সম্মেলনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রধান দেশগুলোর উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।